
১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার মর্মান্তিক ঘটনা এবং পরবর্তীতে উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তাকারি যেসব কানাডিয়ানের স্মৃতিতে এখনও ওই ঘটনা এখনও জ্বলজ্বল করছে টুরিক তাদের একজন। ওই ঘটনার পর কানাডা থেকে যে কয়েকশ ফায়ারফাইটার উদ্ধার তৎপরতায় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন টুরিকও ছিলেন তাদের মধ্যে, যাকে তিনি নাম দিয়েছেন ‘সহায়তা মিশন’।
টুরিক বলছিলেন, তাদের (ফায়ারফাইটার) সবাই খুব বিধ্বস্ত ছিলেন। তাদের প্রত্যেকেই নিহদের কাউকে না কাউকে চিনতেন। তিনি ও ক্যালগেরির উদ্ধার দলের আরও পাঁচজনের এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছিল কি ঘটেছে তা বুঝে উঠতে ও আমেরিকান সহকর্মীদের সান্তনা দিতে। ২০ বছর ধরে ৯/১১ টুরিকের কাছে বার্তা হয়ে আছে। এতো ভালো প্রস্তুতি আর কিছুতে নেই। কেউই জানতো যে কি ঘটতে যাচ্ছে।
২০০২ সালের জানুয়ারিতে গ্রাউন্ড জিরোতে দাঁড়িয়ে চারপাশে মরদেহে ঘেরা একদল পুলিশ কর্মকর্তাকে দেখার স্মৃতিটা মনে পড়ছে ক্যালগেরির ফায়ারফাইটার মার্ক টুরিকের। মরদেহগুলো বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের ধ্বংসস্তুপ থেকে বের করে আনা হয়েছিল। দুই দশক আগের ওই মাসে তোলা অসংখ্য ছবি দেখে ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার পর নিউ ইয়র্ক সিটিতে কাটানো তার চার মাসের কথা বলছিলেন টুরিক। ফায়ারফাইটাররা তখনও সহকর্মী ও বের হতে না পারা সাধারণ নাগরিকদের তালাশে ব্যস্ত ছিলেন।
পাশেই একটি বাক্স, যেটি নিউজপেপার, ম্যাগাজিন ও ভিডিও টেপে ভর্তি। ‘১৫ বছর পর্যন্ত আমি এটি খোলার সাহস পাইনি। সামান্য কিছু আপনি বহন করছেন, যা আপনি ভাবতেও পারেননি’, বলছিলেন টুরিক, যিনি এখন দায়িত্ব পালন করছেন ক্যালগেরি ফায়ার ডিপার্টমেন্টের উপপ্রধান হিসেবে।