
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীর চূড়ান্ত প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর দেশের বড় অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় তালেবানরা। শেষ পর্যন্ত ১৫ আগস্ট্ কোনো ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই রাজধানী কাবুলে ঢুকে পড়ে তারা। তার আগেই আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর বিপুল সংখ্যক আফগান নাগরিক দেশ ছাড়ার মরিয়া চেষ্টা শুরু করে। এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মার্কিন সেনাবাহিনীর আফগানিস্তান ত্যাগের সময়সীমা ঘোষণা করেন।
এদিকে, কানাডিয়ান নাগরিক ও আফগান শরনার্থীরা যাতে নিরাপদে কাবুল ত্যাগ করতে পারে সেজন্য তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে কানাডা। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক গারনো এ তথ্য জানিয়েছেন।
দ্য ওয়েস্ট ব্লক’সের মার্সিডিস স্টিফেনসনকে দেওয়া রোববার এক সাক্ষাৎকারে গারনো বলেন, সংলাপটি হবে বহুপাক্ষিক। অর্থাৎ অনেক দেশই এতে অংশ নেবে। আলোচনায় প্রধান অগ্রাধিকার হবে অন্য দেশে ইচ্ছুক আফগানদের জন্য নিরাপদ পথ করে দেওয়া। এর সঙ্গে সবাই একমত এবং তালেবানদের প্রতি এটা দাবি হিসেবে রাখবো আমরা। জানি না তারা কিভাবে এটাকে নেবে। কিন্তু আগামী তালেবানদের সঙ্গে আলোচনায় এটাই অগ্রাাধিকার।
দ্বিতীয় অগ্রাধিকারটি হলো কাবুল বিমানবন্দর খোলা রাখা এবং সেনা সদস্যদের ফিরিয়ে আনার কাজ শেষ হলে এটাকে বাণিজ্যিক বিমানবন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। কূটনীতিকরা যখন আফগানিস্তানে আটকাপড়া অবম্য কানাডিয়ান নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা ও ঝুঁকিতে থাকা আফগান ও তাদের পরিবারকে কানাডায় ফিরিয়ে আনার মরিয়া চেষ্টা করছেন ঠিক সেই সময় আলোচনার বিষয়টি এলো।
আফগানিস্তান থেকে ৩ হাজার ৭০০ জনকে উদ্ধারের পর কানাডা তাদের উদ্ধার অভিযান বৃহস্পতিবারই সমাপ্ত ঘোষণা করেছে। যদিও বেশ কিছু কানাডিয়ান নাগরিক ও আফগান শরনার্থী এখনও রয়ে গেছে, যাদেরকে উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।