
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর কানাডার জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন ধার্য্য করা হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। সম্প্রতি অন্টারিওর বোল্টনে জাস্টিন ট্রুডোর নির্বাচনী অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কনজার্ভেটিভ পার্টির কতিপয় সমর্থকের বিরুদ্ধে। তবে অন্য দলের নেতাদের হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখালে কনজার্ভেটিভ পার্টির নির্বাচনী প্রচারণায় সমর্থকদের গ্রহণ করা হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন এরিন ও’টুল। শনিবার এই হুশিয়ারি দেন কনজার্ভেটিভ নেতা।
অন্টারিওর বোল্টনে জাস্টিন ট্রুডোর অনুষ্ঠান বাতিলে বাধ্য করা বিক্ষোভাকারীদের মধ্যে কনজার্ভেটিভ পার্টির বেশ কয়েকজন সমর্থককে দেখা যাওয়ার পরদিন এই সতর্কতা উচ্চারণ করলেন তিনি। বিক্ষোভাকারীদের মধ্যে স্থানীয় কনজার্ভেটিভ এমপি কাইল সিবাকের অন্তত চারজন সমর্থককে ছবিতে দেখা গেছে। নীল রঙের ‘টিম সিবাক’ লেখা টি-শার্ট পরিহিত ছিলেন। ওই সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না বলে শুক্রবারই বিবৃতি দিয়েছেন সিবাক।
বিক্ষোভকারীদের নিন্দা জানিয়েছেন এনডিপি নেতা জাগমিত সিংও। তিনি বলেন, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কোনো অনুষ্ঠান বাতিল করানো কারোরই উচিত নয়।
এরিন ও’টুল শনিবার বলেন, নেতিবাচক প্রচারণার কোনো স্থান কনজার্ভেটিভ পার্টিতে নেই। দেশের ভবিষ্যতের জন্য আমরা ইতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছি। আমরা যে হয়রানি ও বিক্ষোভ দেখলাম আমি তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমনরা গণতান্ত্রিক। কোনো ধারণা নিয়ে আমাদের মধ্যে সুস্থ্য ও সম্মানজনক বিতর্ক হওয়া উচিত। প্রচারণায় যারা নেতিবাচকতা টেনে আনতে চায় তাদেরকে গ্রাহ্য করার কোনো সময় আমাদের নেই।
দেশও ও গনতন্ত্রকে সবকিছুর ওপরে স্থান দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান এরিন ও’টুল। তিনি বলেন, নেতা থেকে শুরু করে প্রথমবারের মতো স্বেচ্ছাসেবক সবার কাছেই এ ধরনের আচরণই প্রত্যাশা আমার।
প্রচারণার পুরো সময়জুড়েই বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদের মুখে পড়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। তাদের অধিকাংশই বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিনেশন, মাস্ক পরিধান এবং লকডাউনের বিরোধিতা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সন্ধ্যায় বোল্টনের নির্ধারিত একটি কর্মসূচি বাতিল করতে হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের জন্য নিরাপদ নয় বলে আরসিএমপি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পর কর্মসূচিটি বাতিল করা হয়েছে বলে পরে জানান জাস্টিন ট্রুডো।