
বাংলাদেশে মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। দেখা যাচ্ছে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পাশের হারের ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে। ইদানিং সব পাবলিক পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে থাকছে। এটা ভালো লক্ষন। মেয়েরা তো সবখানে অনেক পিছিয়ে ছিল। তবে সবখানে সমান সমান হয়ে গেলে ভালো লাগত। কোন একটি গোষ্ঠি পিছিয়ে থাকা মানে ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হওয়া। মেয়েদের এ সাফল্যের পিছনের মুল কারন হল: তাঁরা তাদের স্বপ্নের পিছনে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে লেগে থাকে। আর ছেলেদের মধ্যে ড্যামকেয়ার ভাব। ঠিক খরগোশ ও কচ্ছপের দৌড়ের মত। কোন কিছুতে সফলতা পেতে হলে নিরবিচ্ছিন্নভাবে লেগে থাকার বিকল্প নেই। এখানে মেধার অবদান গৌনই।
তবে ডাক্তারী পেশায় মেয়েদের এগিয়ে থাকাটা আমি ভালোই মনে করি। কারন এ পেশায় শুধু স্কিল্ড প্রফেশনালই দরকার না, সাথে দরকার স্কিল্ড, এমফ্যাটিক, কেয়ারিং প্রোফেশনাল। কারন একজন রোগী যখন ডাক্তারের কাছে আসে, তখন তাকে মুল্যায়ন করা, কেয়ার করা, ভরসার জায়গা হওয়া– ডাক্তারের কর্তব্য। সেই বিবেচনায় নারীরা এ ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে এগিয়ে বলা যায়। কারন নারীরা বায়োলোজীক্যালি এমফ্যাটিক, কেয়ারিং ও শান্তিপ্রিয়।
নারীরা যেহেতু এমফাথেটিক, কমপ্যাসানেট ও কেয়ারিং হয় সে জন্য নেতৃত্বের জায়গায় নারীরা থাকলে সমাজও রাষ্ট্রে শান্তি বজায় থাকার সম্ভবনা বেশী থাকে। উন্নয়নও ভালো হয়। যদিও আমরা পুরুষরা একটা অভিযোগ সব সময়ই করি। আর তা হল, সংসারে অশান্তি সৃষ্টির মুলে থাকে নারীরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়ত কথাটা সত্য। কিন্তুু সেটাকে সাধারনীকরন করা ঠিকনা। আবার সব পুরুষই যে সব সময় “শান্তির ধ্বজাধারী” তাও ঠিক না। তবে মেয়েরা মুখে মুখে ঝগড়াঝাটি একটু বেশী করলেও সমাজে ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টিতে তাদেরকে খুব একটা দেখা যায়না। যুগযুগ ধরে পুরুষেরাই বরং লাঠিসোঠা, ট্যাঙ্ক, কামান, বন্দুক, ছুরি, পারমানবিক বোমা, রকেটলান্চার নিয়ে যেভাবে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পরেছে সেক্ষেত্রে নারীরা সাধারনত তা করে নাই বা করেনা।
সে জন্য বলা হয়, রাশিয়ায় যদি আজ নারী প্রেসিডেন্ট থাকত তাহলে হয়ত ইউক্রেনে এতগুলো লোক মারা যেত না। আমেরিকায় নারী প্রেসিডেন্ট থাকলে ইরাকে হামলা হত না, আফগানিস্তানেও যুদ্ধ লাগত না। এমনকি সারা পৃথিবীতেই হয়ত যুদ্ধ কমে যেত। বর্তমানে পৃথিবীর যা অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার জন্য পৃথিবীর সব দেশে সব জায়গায় নারী নেতৃত্বের বিকল্প নেই।
যাইহোক, বাংলাদেশে যারা মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় সফল হয়েছে, তাদেরকে শুভেচ্ছা জানাই। আর যারা কৃতকার্য হতে পারে নাই, তাঁদের জন্য ভবিষ্যতে অনেক গুরুত্বপুর্ন পেশা রয়েছে। সেগুলো থেকে তাঁরা বেছে নিতে পারে।
স্কারবোরো, অন্টারিও, কানাডা