
খুব সুকৌশলে বাঙালী সংস্কৃতির সাথে বাঙালীর ধর্মের বিরোধ লাগিয়ে দেবার চেষ্টা হচ্ছে। তবে এটি নুতন কোন ঘটনা নয়। যে কোন ঘটনায় একটি পক্ষ লাভবান হয়। এক্ষেত্রেও হচ্ছে।
পুলিশের পোষাক পড়া ব্যক্তিটি দুটো অন্যায় করেছেন বলে আপাতত মনে হচ্ছে। ১। মোটর সাইকেল চালনার সময় হেলমেট পরেন নি। ২। কপালে টিপ পরেছেন বলে পথচারী একজন মহিলাকে কটাক্ষ করেছেন। একটার সাথে অন্যটার সম্পর্ক নেই। হেলমেট পরা থাকলেও তিনি টিপ পরা নিয়ে কটাক্ষ করতেন বা করতে পারতেন।
দুটো ঘটনাই মুলত নিন্দনীয়। যে কেউ যে কাউকে যেখানে খুশী যা ইচ্ছে তাই বলতে পারে, বল প্রয়োগ করতে পারে। শক্তিশালী পক্ষ দুর্বল প্রতিপক্ষের উপর হামলে পড়তে পারে। কেন পারে? কারণ সেটা করলে কোন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে না। এই যে হেলমেট পরার নিয়ম থাকলেও সেটা না পরলেও চলবে, কোন শাস্তি হবে না কিংবা কিছু লোকের হবে, অন্যদের হবে না, আবার যাকে খুশী তাকে গালি দেয়া যাবে, গা’য়ে হাত দেয়া যাবে, সরকারী জমি দখল করা যাবে, কেউ কিছু বলবে না অথবা যদু করলে শাস্তি হবে মধু করলে কিছুই হবে না, এই বৈষম্যমুলক সমাজ ব্যবস্হা কায়েমের জন্যই মুলত এসব ঘটনা যুগের পর যুগ ঘটে চলেছে এবং ঘটতেই থাকবে।
প্রশ্ন হলো এটা কেন ঘটে এবং প্রতিকার কী, দায়ী কে?
ঘটার একমাত্র কারণ হলো মুল জায়গায় গলদ। মুল জায়গায় গলদের কারণেই এতসব ঘটনা ঘটে এবং ঘটনা পরবর্তী নানা নাটকের জন্ম দিতে হয়। দায়ী এবং প্রতিকার নির্ভর করে যারা মুল জায়গার দায়িত্বে আছেন। অর্থাৎ যখন যারা সরকারে থাকেন তারা। অথচ আজ যারা প্রতিবাদ করছেন তারা সমস্যার মুল জায়গা নিয়ে কথা বলতে চান না কারণ তাহলে নিজের দিকেই আঙুল তোলা হবে। আমরা আর যাই করি, নিজের দিকেতো আঙুল তুলতে পারি না, তাই না? সেটা সংসদেই হোক আর সংসদের বাইরেই হোক!
হৈচৈ চেঁচামেচী করে পুরো দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিব যাতে চাচারও লাভ ভাস্তিরও লাভ।
সেই পুলিশটির শাস্তি হয়েছে, তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাই বলে কি এই সব আর ঘটবে না? অবশ্যই ঘটবে। ফেসবুকের পোষ্ট দেখলেই বুঝা যায়। আরো বুঝা যায় বৈষম্য মুলক সমাজ ব্যবস্হা ফিক্স না করে, মুল জায়গা ফিক্স করার সামান্যতম তাগিদ অনুভব না করে একটা তাবেদার গোষ্ঠী তৈরী করে এই নষ্ট সমাজ টিকিয়ে রাখার হীন প্রয়াস লক্ষ্য করলে।