2.9 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

‘কলকাতা কী দিতে পারে রমনার বটমূল, পান্তা-ইলিশ’ আক্ষেপ মিথিলার

‘কলকাতা কী দিতে পারে রমনার বটমূল, পান্তা-ইলিশ’ আক্ষেপ মিথিলার - the Bengali Times
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা

বিয়ের পর প্রথম পয়লা বৈশাখে কলকাতায় শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। তার পয়লা বৈশাখের স্মৃতি একটি লেখা লিখেছেন আনন্দবাজার পত্রিকায়।
এ বছর পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন করছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত এবং মেয়ে আয়রার সঙ্গে। সৃজিত পাঞ্জাবিতে বাঙালি বাবু সেজেছেন।

সকালে তিনি স্নান সেরে, খোলা চুলে, লাল পেড়ে সাদা খোলের শাড়ি পরেছেন। কপালে লাল টিপ। বাংলা নতুন বছরের নতুন সূর্যের মতোই লাল টকটকে!

- Advertisement -

তিনি কলকাতায় বসে মিস করছেন পান্তা-ইলিশ, রমনা পার্ক, নানা জেলার শোভাযাত্রা।

তিনি মনের আক্ষেপ মিশিয়ে প্রশ্ন করেছেন ‘কলকাতা, তুমি কি আমায় দিতে পারবে আমার ‘দ্যাশ’-এর রমনা বটমূলের স্বাদ, গন্ধ, স্মৃতি?’

অভিনেত্রী বলেন, ‘এবার আমি এপার বাংলায়। বিয়ের পর এ বছরই আমি পয়লা বৈশাখে প্রথম শ্বশুর ঘরে। এবারও আমি উঠে পড়ব কাকডাকা ভোরে। স্নান সেরে, খোলা চুলে, লাল পেড়ে সাদা খোলের শাড়িতে। কপালে লাল টিপ। বাংলা নতুন বছরের নতুন সূর্যের মতোই লাল টকটকে! কিন্তু পান্তা ভাত আর ইলিশ মাছ ভাজা থাকবে না। থাকবে না ঢাকার দিগন্তবিস্তৃত রমনা পার্ক। যার বটমূলে ভোর থেকে নানা জেলার শোভাযাত্রা এসে জমায়েত হয়। যেখানে গোটা ঢাকা শহর পাত পেড়ে বসে যায় পান্তা-ইলিশ খেতে। কলকাতা, তুমি কি আমায় দিতে পারবে আমার দেশের রমনা বটমূলের স্বাদ, গন্ধ, স্মৃতি?’

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ জাতীয় স্তরের উৎসব। এক সপ্তাহ ধরে চলে তার প্রস্তুতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীরা রাত জেগে বানান নানা ধরনের মুখোশ, পোস্টার, লতা-পাতায় সাজানো ফেস্টুন। সেই সব নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা ভোর থেকে। সবার পরনে লাল পাড়, সাদা শাড়ি। কপালজুড়ে টিপ। গলায়, ‘এসো হে বৈশাখ গান’। সংসদ ভবনের সামনের লম্বা রাস্তা জুড়ে দেশের সবচেয়ে বড় আল্পনা। রমনা মাঠ-সহ সমস্ত উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পান্তা-ইলিশ পর্ব। বন্ধু, পরিজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ। তার পরে বাড়ি ফিরে দুপুরে রকমারি ভর্তা দিয়ে ভাত। এগুলো যে না দেখেছে, সে বুঝবে না এর ভেতরে কতখানি শান্তি, তৃপ্তি লুকিয়ে।

মেয়ে আইরাকেও বৈশাখী সাজ শিখিয়েছেন জানিয়ে মিথিলা বলেন, ‘আমার মেয়ে দুই বাংলার নববর্ষ দেখতে দেখতে বড় হচ্ছে। শিখেছে, ইংরেজির ১২ মাসের মতোই বাংলাতেও ১২ মাস রয়েছে। আর বাঙালির আছে ১২ মাসে তেরো পার্বণ। সেই পার্বণের শুরু পয়লা বৈশাখ দিয়ে। মেয়েকে আমার মতো করেই সাজতে শিখিয়েছি। ভবিষ্যতে পয়লা বৈশাখের ভোরে আইরার সাজেও যাতে থাকে লাল পেড়ে ঢাকাই শাড়ি। কপালে লাল টিপ।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles