
কী দেখলে বুঝবেন আপনার পার্টনার(স্বামী/স্ত্রী/বন্ধু/বান্ধবী আপনাকে কন্ট্রোল করছে?
১। যখন দেখবেন যে সে আপনাকে আপনার খুব কাছের বন্ধুবান্ধব, আত্নীয়স্বজন ও বাবা থেকে আপনাকে আলাদা করে ফেলার চেষ্টা করছে। আপনি তাদের সাথে কথা বললে, বলবে এত কিসের কথা? আমার সাথে কথা বলে তোমার পেট ভরেনা?
২। যখন দেখবেন সে সব সময় আপনার সমালোচনায় ব্যস্ত। আপনি কোন দোষ করেন বা না করে অথবা করলেও তা যত ছোটই হোক সে আপনার সমালোচনা করতেই থাকবে।
৩। সে আপনাকে নানাভাবে ভয় দেখাবে। শারীরিকভাবে আঘাত করতেও উদ্যেত হবে, টাকা পয়সা দেয়া বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিবে।
৪। দেখবেন সে আপনার টেককেয়ার করতে চাইবে যে কোন শর্তের বিনিময়ে। যেমন ধরুন বলবে, তুমি ওজন কমাও অথবা সিগ্রেট বন্ধ কর তাহলে তোমার সাথে শোব।
৫। দেখবেন সে আপনার জন্য ছোটখাটো যাই কিছু করুক না কেন তা লিষ্ট করে রাখবে এবং সময় সময় তা আপনাকে মনে করিয়ে দিবে যে সে আপনার জন্য এগুলো করছে। কেন আপনি তার কথামত চলবেন না?
৬। আপনার অতীতে করা কোন ভুল/। অন্যায় কোন কাজকে বার বার আপনার ওপর প্রয়োগ করার চেষ্টা করতে থাকবে। তোমার কারনে এই ক্ষতি হয়েছে; এর আগের সংসার তুমি করতে পারনি তোমার এই আচরনের কারনে; তোমাকে কোন ছেলে/মেয়ে পছন্দ করেনা, আমিই তোমাকে পছন্দ করেছি। সে জন্য তোমাকে আমার কথা মত চলা উচিৎ।
৭। আপনার জন্য হঠাৎ কোন কিছু করে আপনাকে রিনগ্রস্থ করে রাখবে। পরবর্তিতে আপনাকে সেটা বারবার মনে করিয়ে দেবে যে তোমাকে আমি এটা দিয়েছি সেটা দিয়েছি। তোমার জন্য সব করেছি, তো কেন তুমি আমার কথা শুনবে না?
৮। সব সময় সে আপনাকে সন্দেহের চোখে রাখবে।আপনার প্রতি গোয়েন্দাগিরি করতে থাকবে। আপনি কোথায় যান, কী করেন, কার সাথে কথা বলেন?গোপনে আপনার ফোন চেক করবে অথবা প্রকাশ্যেই। আপনি যাই করেন না কেন সেটার ব্যাখ্যা চাইবে এবং আপনাকে তা দিতে বাধ্য করবে।
৯। আপনাকে খুব খাতিরযত্ন করবে কিন্তুু আপনার একটু ভুল হলেই আপনাকে দোষারোপ করতে ছাড়বে না।
১০। আপনার পেশার বিষয়ে নানা রকম নেগেটিভ কথাবার্তা বলতে থাকবে। কলিগদের নিয়ে সন্দেহ করবে।
১২। আপনার বিশ্বাস ও মুল্যবোধকে অশ্রদ্ধা করবে। আপনি কবিতা আবৃতি করেন সেটা তার পছন্দ হবেনা। নানা কটু কথা বলবে।
১৩। আপনার ইমোশন ও ভালো লাগাকে উপহাস করতে থাকবে।
এগুলো থেকে মুক্তির উপায় কী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, সম্পর্ক করার অর্থ কাউকে নিজের অর্জিত সম্পত্তি মনে করা নয়; বরং যে কোন সম্পর্ক ভালবাসার ওপর নির্মিত হয় যার অর্থ হল স্বাধীনতা।
যে সম্পর্কে কোন ভালবাসা নেই সেখানে নিয়ন্ত্রন থাকবেই। আর যেখানে ভালোবাসা নেই সেখানে স্বাধীনতাও নেই।
আপনি যদি বুঝতেই না পারেন যে আপনি বন্দী, তাহলে আপনি স্বাধীনতা খুঁজতে যাবেন না। কাজেই আপনার সম্পর্কটায় ভালোবাসা কতখানি বিদ্যমান তা বোঝাটা আগে জরুরী। সেটা না থাকলে বুঝবেন আপনি বন্দী। আর সেই বন্দীদশা থেকে বের হওয়ার পথ আপনাকেই খুঁজতে হবে। অনেক সময় Learned Helplessness এর কারনে চাইলেও অনেকে তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনা; তখন প্রফেশনাল কারোর সহায়তা দরকার হয় যিনি আপনার ক্ষমতায়নে সাহায্য করতে পারে যা আপনাকে আপনার পার্টনারের নিয়ন্ত্রন থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করতে পারে।