
কানাডার প্রায় ৪০ শতাংশ নাগরিক এরইমধ্যে অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে ফেলেছেন। তবে হার্ড ইমিউনিটির জন্য মোট জনসংখ্যার কমপক্ষে ৭৫ শতাংশকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। এদিকে, লেজারের নতুন এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব সত্ত্বেও সার্বিকভাবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রতি কানাডিয়ানদের আস্থা কমেনি। ভ্যাকসিন পাসপোর্টের প্রতিও কানাডিয়ানরা খোলা মত পোষণ করেছেন। ডাইনিং, কনসার্ট বা শপিং মলে যাওয়ার মতো প্রাত্যহিক কাজে নয়, কেবল ভ্রমণের প্রয়োজনেই ভ্যাকসিন পাসপোর্টের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন তারা।
৭ থেকে ৯ মে পর্যন্ত ১ হাজার ৫২৯ জন কানাডিয়ানের ওপর অনলাইনে সমীক্ষাটি চালানো হয়েছে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রতি ১০ জন কানাডিয়ানের মধ্যে আটজনই হয় এরইমধ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে ফেলেছেন অথবা নেওয়ার কথা ভাবছেন। এক মাস আগের এক সমীক্ষাতেও প্রায় একই ফলাফল পাওয়া গিয়েছিল। তবে গত অক্টোবরে পরিচালিত সমীক্ষায় ভ্যাকসিন সম্পর্কে এই মনোভাব ব্যক্ত করেছিলেন প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ ও জানুয়ারিতে প্রতি ১০ জনে সাতজন।
লেজারের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান বোর্ক বলেন, পূর্ণবয়স্ক নাগরিকদের ৮২ শতাংশ যদি ভ্যাকসিন নেন তাতে পশ্চিম গোলার্ধের প্রত্যেক সরকারেরই খুশি হওয়ার কথা। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনে সম্ভাব্য রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি সত্ত্বেও ভ্যাকসিনের প্রতি কানাডিায়ানরা এই আস্থা ব্যক্ত করেছেন। সমীক্ষার দুই সপ্তাহ আগেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ১২ জন কানাডিয়ানের মধ্যে ভিআইটিটি দেখা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে তিনজন মানরাও গেছেন। ২০ লাখের বেশি কানাডিয়ান এখন পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
এ অবস্থায় ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ইমিউনাইজেশন গত ২৩ এপ্রিল এক সুপারিশে বলেছে, যারা সংক্রমণের কম ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা চাইলে এখনই অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন না নিয়ে ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। গত ৩ মে জনসন অ্যান্ড জনসনের ব্যাপারেও একই সুপারিশ করেছে কমিটি।
এই বক্তব্যের পর অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনের প্রতি জন আস্থা হ্রাস পেয়েছে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রতি ১০ জনের আটজনই ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিনে রক্ত জমাট বাধার কোনো ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনের প্রতি আস্থা প্রদর্শন করেছেন এর অর্ধেকেরও কম কানাডিয়ান। যদিও এক মাস আগে প্রতি ১০ জনের মধ্যে সাতজনই জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনের প্রতি আস্থা দেখিয়েছিলেন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনে আস্থাবান ছিলেন এর চেয়ে কিছু বেশি মানুষ।