
প্রতিদিন নতুন করে যে হারে মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হচ্ছে তাতে করে ৮ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত অন্টারিওতে কোভিড রোগী সনাক্ত হয়েছেন ১৮ হাজার। অন্টারিওজুড়ে ভারতীয় ধরনে আক্রান্ত ৪৫ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন হিসেবে পরিচিত বি.১.৬১৭ সহজে ও দ্রুত সনাক্তে গণ স্ক্রিনিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে অন্টারিও। জনস্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র বলেছেন, ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জিনোম সিকোয়েন্সিং কার্যক্রমকে আরও সুচারু করছি আমরা, যাতে করে বি.১.৬১৭সহ অন্যান্য ভবিষৎ ভ্যারিয়েন্টও সময়মতো সনাক্ত করা যায়। তাই পিসিআর-এর মাধ্যমে বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্ট সনাক্তে রুটিন ভ্যারিন্টে পরীক্ষার চিন্তা-ভাবনা এই মুহূর্তে নেই।
সিকোয়েন্সিং কষ্টসাধ্য এবং ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া এবং সংক্রমণের বিদ্যমান যে হার তাতে প্রত্যেক আক্রান্ত অথবা বেশিরভাগ আক্রান্তের নমুনা স্ক্রিনিংয়ের সুযোগ নেই।
বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত সপ্তাহে বি.১.৬১৭কে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন হিসেবে উল্লেখ করেছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগ প্রদেশে বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ৪৫ জনকে সনাক্ত করেছে। তাদের মধ্যে ৩৭ জনের ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক ভ্রমণের রেকর্ড আছে। অবশিষ্ট ৮ জনের ব্যাপারে তদন্ত চলমান আছে বলে জানিয়েছে অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগ। তবে এই আটজনের কেউ হাসপাতালে ভর্তি হননি। এর আগে এক ব্রিফিংয়ে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ৪৫ জনের মধ্যে দুইজনের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল।
সামনের মাসগুলোতে কত সংখ্যক মানুষ বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলেন সে পরিসংখ্যান নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগ। সংস্থাটি বলছে, অন্টারিওতে বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের সাপ্তাহিক উপাত্ত পরীক্ষা করে দেখছি। আগামী সপ্তাহ বা তার পরের সপ্তাহে আমরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারব।