
রিডো হলের ইন্টারনাল কম্পিউটার নেটওয়ার্কের যে সমস্যা তা উন্নত ধরনের সাইবার হামলা ছিল বলে নতুন প্রকাশিত নথিতে উঠে এসেছে। নিরাপত্তা ত্রুটির বিষয়টি জনগণকে জানানোর আগের দিন সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কাছে এমনটাই বলা হয়েছিল।
সরকারের অভ্যন্তরীণ একটি ইমেইল তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে হাতে পেয়েছে দ্য কানাডিয়ান প্রেস। তাতে বলা হয়েছে, কী পরিমাণ তথ্যে হামলাকারীরা প্রবেশ করতে পেরেছে তা জানাতে পারেননি কর্মকর্তারা।
এ কারণেই গভর্নর জেনারেলের সচিবের কার্যালয় থেকে কর্মীদের জন্য মনিটরিং সেবা প্রদানের কথা ভাবছিল। সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য খোয়া যেতে পারে এমন উদ্বেগ থেকেই এ উদ্যোগ। ২ ডিসেম্বর কার্যালয়ের তরফ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর ইন্টারনাল নেটওয়ার্কে অনাকাক্সিক্ষত প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টির তদন্তে তারা কানাডিয়ান সেন্টার ফর সাইবার সিকিউরিটির সঙ্গে কাজ করছে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক উন্নত করাসহ ফেডারেল প্রাইভেসি কমিশনারের কার্যালয়ের সঙ্গে পরামর্শের কথাও বলা হয়েছে এতে।
কার্যালয়ের মুখপাত্র সিয়ারা ট্রুডো বলেন, রিডো হলের কর্মী ও বাইরের যেসব অংশীজন এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে আর কোনো তথ্য এবং কী ধরনের তথ্যে হামলাকারীরা প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য জানাতে অস্বীকার করেছেন তিনি। এমনকি কেন এ ঘটনা ঘটেছে সে তথ্যও জানাননি তিনি।
কমিউনিকেশন্স সিকিউরিটি এস্টাবলিশমেন্টের মুখপাত্র ইভান করোনিউস্কি বলেন, সিএসই ও এর সাইবার সেন্টার হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানায়নি। তবে এ কথা আমি বলতে পারি সম্ভাব্য নতুন কোনো হুমকি নজরদারি, শনাক্ত ও তদন্তের শক্তিশালী ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে গভর্নর জেনারেলের সেক্রেটারির অফিসের সঙ্গে আমরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি।