
টরন্টোর সিটি কর্তৃপক্ষ ডাউনভিউ পার্কে ষষ্ঠ ভ্যাকসিনেশন সেন্টার চালু করেছে এবং ৬০ বছর ও তার বেশি বয়সী সব টরন্টোবাসী শহরের যেকোনো ক্লিনিকে অ্যাপয়নমেন্ট নিতে পারবেন। তবে অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা শহরের কিছু নেবারহুডের ১৮-৫০ বছর ও তার বেশি বয়সীদের জন্যও ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা রয়েছে। টরন্টোর মেয়র জন টরি জানিয়েছেন, সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা কর্মক্ষেত্র ও আবাসিক এলাকাগুলোতে বেশি সংখ্যক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। বয়সভেদে এসব উচ্চ ঝুঁকির এসব কর্মক্ষেত্র ও আবাসিক এলাকার বেশি সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনাই লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। এক সংবাদ সম্মেলনে জন টরি বলেন, নির্দিষ্ট কোনো কারখানা বা কর্মক্ষেত্র যেখানে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি সেখানকার কর্মী অথবা একই ধরনের ঝুঁকিতে থাকা আবাসিক এলাকায় যারা বসবাস করেন তাদেরকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে এগোনো উচিত। এসব এলাকায় বেশি সংখ্যক ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা আমরা করব।
জন টরি বলেন, আমাদের বৃহৎ ভ্যাকসিন ক্লিনিকগুলো খুলে দিলে ব্যাপক হারে লোকজন সেখানে জড়ো হতেন। নিবন্ধন না করেই লাইলে দাঁড়িয়ে তারা বলতেন, আমি এসেছি। আমার ভ্যাকসিনটা এখন দেন। এটা সম্ভব নয় এর পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এখন আমাদের দরকার দ্বিতীয় পথ নিয়ে ভাবা এবং অগ্রাধিকার তালিকায় উপরের দিকে নেই কিন্তু নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে এমন কারখানা ও কর্মক্ষেত্রে ভ্যাকসিন পৌঁছানোর চেষ্টা বাড়িয়ে দেওয়া।
তিনি বলেন, বর্তমানে টরন্টোতে ১৭টি ভ্যাকসিন ক্লিনিক আছে। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকও আছে যেগুলো অধিক সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোতে যাচ্ছে। এলাকাগুলোতে এ ধরনের ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকেরর উপস্থিতি বাড়ানো প্রয়োজন।