
আমেরিকানদের কেউ কেউ Oxford কে উচ্চারন করে ‘Oggsford’. যেমন Let me কে বলে Leme. Them বলে ’em.
আমার ওগুলো প্রথম প্রথম বুঝতে খুব সমস্যা হত।
আবার আমি যখন কোইশ্চেন(Question)কে বলতাম কোশসেন। আমার কথা ওরা বুঝতনা। ওরা বলত, আর সেইং “কুশন”। মানে সোফার ওপর যেটা ব্যবহার করে। আমি বলতাম, আরে না। দাড়াও বানান করি। মাঝে মাঝে বানান করে বলতে হত।
কিছু নাইজেরিয়ান কলিগ আওয়ার(hour) কে হাওয়ার বলত। বলতাম বুঝি নাই বানান কর। তারা Hour বানান করত এভাবে: ‘হেইচ’ H, ‘হো’ O, ‘হিউ’U, ‘হার’R.
মরজালা। বলতাম, তাও বুঝলাম না। লিখে দেখাও। পরে বিরক্ত হয়ে লিখে দেখাত।
বলতাম, তোমাদের উচ্চারন তো আমি ধরতে পারিনা। এটা তোমাদের দোষ না এটা আমার দোষ।
ওরা বলত, না না। তুমি ঠিকই আছো। আমরা আসলে ব্রোকেন ইংলিশ বলি।
আমাদের নোয়াখালী অঞ্চলের কেউ কেউ Pape (পেপ)কে ফেপ উচ্চারন করে। তাদের কথাও বুঝতে মাঝে মাঝে অসুবিধা হত।
কিছু কিছু ইংরেজী শব্দের উচ্চারনের ভিন্নতার কারনে মৌখিক যোগাযোগে অনেক সমস্যা হয়।
কুইক কোন সমাধান নাই। ধৈর্য্য ধরে দিনের পর দিন শুনতে শুনতে সব ঠিক হয়ে যায়।
সবাই আসলে ঠিকই উচ্চারন করে। আমরা শুনি ভুল।