
কানাডার সশস্ত্র বাহিনীতে হোয়াইট সুপ্রিমেসি ও অন্যান্য সহিংস চরমপন্থা শসাক্ত ও দমনে সশস্ত্র বাহিনী যথেষ্ট কাজ করছে না। কানাডিয়ান সশস্ত্র বানিহীতে বর্ণবাদ সংক্রান্ত নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনীতা আনান্দ সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন। গত দুই দশকে বর্ণবাদ নিয়ে পর্যবেক্ষণ ও এর আগে ডজনখানেক গবেষণার ব্যাপারে পদক্ষেপ না নেওয়ায় সশস্ত্র বাহিনীকে ভর্ৎসনায়ও করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল বছরব্যাপী পর্যালোচনা করার পর প্রতিবেদনটি প্রকাশ্যে এলো। এর মধ্যে হোয়াইট সুপ্রিমেসি ও নব্য নাৎসীসহ চরমপন্থী গ্রুপের সঙ্গে বেশ কিছু সেনা কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার ঘটনাও ঘটে গেছে।
কানাডার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ৭১ শতাংশই শে^তাঙ্গ। যেখানে বেসামরিক প্রশাসনে তাদের হিস্যা মাত্র ৩৯ শতাংশ। প্রতিবেদন বলছে, কানাডার সশস্ত্র বাহিনীতে আদিবাসী, সংখ্যালঘু ও নারীদের অংশগ্রহণ লক্ষ্যণীয় হারে কম।
সামরিক বাহিনীতে চরমপন্থীর অস্তিত্ব থাকাকে নৈতিক, সামাজিক ও পরিচজজালনগত ইস্যু বলে প্যানেল তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। এ ধরনের সদস্য ইউনিটের মধ্যে সংহতি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি কানাডিয়ান যে আস্থা তার প্রতি হুমকি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদন প্রকাশের সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, সামরিক বাহিনীর সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে সরকার ২০ কোটি ডলার বরাদ্দ রেখেছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো নতুন পদক্ষেপের রূপরেখা প্রকাশ করেননি তিনি।
চিফ অব দ্য ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল ওয়েন আয়ার বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টে নজরদারির প্রসঙ্গ এলে ব্যক্তি গোপনীয়তা ও সতর্ক থাকার মধ্যে একটা ভারসাম্য খুঁজে নেওয়া জরুরি। আমরা খুবই সতর্ক আছি এবং সদস্যদের সচেতন করার কাজ অব্যাহত রেখেছি।