
টুইটারের কর্ণধার ইলন মাস্কের স্বাধীন মতের পরিকল্পনা বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অ্যান্টি-হেইট বিশেষজ্ঞরা।
তাদের বিশ্বাস, স্বঘোষিত মুক্ত মতের সমর্থক মাস্ক যেহেতু স্বাধীন মতের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্ষেত্র তৈরিতে কাজ করায় একাধিক নিয়ন্ত্রণমূলক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হতে পারে তাকে। মাস্কের ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার অধিগ্রহণের প্রস্তাব সোমবার অনুমোদন করে টুইটারের পর্ষদ।
যেসব চ্যালেঞ্জের কথা বলা হচ্ছে সেগুলোর অন্যতম হলো টুইটারের মতো অনলাইনে প্ল্যাটফরমে হেইট স্পিচ কমিয়ে আনতে কানাডার বিল আনার পরিকল্পনা। ইউরোপীয় ইউনিয়নে এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ক্ষতিকর ও ভুয়া তথ্য সংক্রান্ত স্থানীয় আধেয় আইন যে কোম্পানিটিকে মেনে চলতে হবে সে ব্যাপারে এরই মধ্যে তাদের সতর্ক করে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল গভার্ন্যান্স ইনোভেশনের জ্যেষ্ঠন ফেলো এবং ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কানাডা রিচার্সের চেয়ার হেইডি টোরেক বলেন, মুক্ত মতের নীতিটি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। কারণ, মডারেশন নিয়ে যে প্রশ্ন তাকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন সরকার এরই মধ্যে টুইটারের ওপর কী ধরনের চাপ প্রয়োগ করছে এবং টুইটার কীভাবে তার প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিবেচনায় নিতে হবে সেগুলোও। প্রশ্নটা কেবল যুক্তরাষ্ট্রের নয়। এটা ভারতের প্রশ্ন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রশ্ন।