
ভ্যাকসিনেশনের গতি বাড়লেও কোভিড-১৯ যে দ্রুত কানাডার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কানাডার জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. তেরেসা ট্যাম। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তির হার গত সপ্তাহে ৬ শতাংশ বেড়েছে। আইসিইউ দরকার এমন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১৪ শতাংশ। কানাডায় বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার ৬০০ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হচ্ছেন।
এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা এ সংকটের চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। আরও কিছু সময় পর্যন্ত আমাদের শক্ত থাকতে হবে। প্রতি সপ্তাহেই বেশি করে ভ্যাকসিন আসছে। সুতরাং, আশাবাদি হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।
আগামী জুনের মধ্যেই ফাইজার-বায়োএনটেক আরও ৫০ লাখ ডোজ এমআরএনএ ভ্যাকসিন পাঠাবে। এ নিয়ে স্প্রিংয়েই তাদের সরবরাহ দাঁড়াবে ১ কোটি ৭৮ লাখ ডোজে। এপ্রিল এবং মাসে প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ ডোজের বেশি ভ্যাকসিন কানাডায় পাঠানোর আশা করছে। জুনে এ সংখ্যা ২০ লাখে পৌঁছে যাবে।
ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রী অনীতা আনান্দ বলেন, ৩০ জুনের মধ্যেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৪৪ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে আশা করছে কানাডা। এপ্রিলের শেষ নাগাদ সিঙ্গেল ডোজের জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনও হাতে পাওয়া যাবে। তবে প্রথম চালানে ঠিক কত সংখ্যক ভ্যাকসিন আসবে তা জানাতে পারেননি তিনি।
জনসন অ্যান্ড জনসনের সরবরাহ বাদ দিলেও উৎপাদন বা রপ্তানিতে অপ্রত্যাশিত ব্যাঘাত না ঘটলে কানাডা ডের আগেই ৪ কোটি ৪০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার অবস্থানে রয়েছে কানাডা। এটা হলে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে। দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দিতে চার মাসের বেশি সময় লাগবে না। প্রাপ্ত বয়স্ক প্রত্যেককে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দিতে ৩ কোটি ১০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিনের প্রয়োজন পড়বে কানাডার।