
লকডাউনের জেরে প্রায় দু’বছর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়নি। এতে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন ভিয়েতনামি যুবক হো হোয়াং হাং। তিনি ভারতের মুম্বাইয়ে স্ত্রীকে দেখতে ভেলায় চড়ে প্রায় দু’হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দেওয়ার ঝুঁকি নিয়ে ফেলেন।
একটি স্যুটকেসে জিনিসপত্র ভরে সুদূর মুম্বাই পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন হো। তার সঙ্গের মালপত্র দেখে অবশ্য যে কারও চোখ কপালে উঠবে। সঙ্গে ছিল একটি পানির বোতল এবং ১০ প্যাকেট ইনস্ট্যান্ট নুডলস। তবে ছিল না কোনো মানচিত্র বা জিপিএস থেকে তথ্য পাওয়ার ডিভাইস। এমনকি দিকনির্ধারক কম্পাসও সঙ্গে নেননি।
সমুদ্রপথে আসার সময় ওই ভেলায় ১৮ রাত কাটিয়েছেন হো। স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য ভিয়েতনামের হো চি মিন শহর থেকে প্রথমে বিমানে করে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যান। তবে ব্যাংককে পৌঁছে জানতে পারেন, বিনা ভিসায় ভারতে যেতে পারবেন না। এরপর ব্যাংকক থেকে বাসে চড়ে ফুকেট চলে যান তিনি।
সেখানে একটি ভেলা কিনে ফেলেন। ৫ মার্চ ওই ভেলায় চেপে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন হো। তবে ৩৭ বছরের হোয়ের মনোবাসনা পূরণ হয়নি। ১৬ মার্চ তাকে থাইল্যান্ডের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে সিমিলান দ্বীপের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।