
ভারতে করোনাভাইরাসের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় মানবিক সহায়তার কারণে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন দেশটির অনেক ব্যক্তি। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আর্ত, দুঃস্থ, বিপদগ্রস্তদের অক্সিজেন, অ্যাম্বুলেন্স, খাবার, ওষুধ পৌঁছে দিয়ে মানবিক গুণের পরিচয় দিয়েছিলেন তারা। তাদের মধ্যে অন্যতম ভোপালের অটোচালক জাভেদ। করোনা মহামারির মধ্যে বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তিনি। এমনকি নিজের অটোরিকশাকে অ্যাম্বুল্যান্সে রূপান্তর করে সংকটাপন্নদের হাসপাতালেও পৌঁছে দিয়েছিলেন জাভেদ।
মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের সেই অটোচালক জাভেদ এবার ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। এ অভিযোগে ইতোমধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভাড়াটিয়াকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
পুলিশের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে অভিযুক্ত জাভেদের বাড়িতে এক দম্পতি ভাড়া থাকে। জাভেদ মাঝেমধ্যেই ভাড়াটিয়া ওই নারীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে স্বামীর অনুপস্থিতিতে জাভেদ বাড়িতে ঢুকে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।
এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই নারী। দায়ের করেন লিখিত অভিযোগ। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাভেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে শিগগিরই আদালতে তোলার কথা রয়েছে।
২০২১ সালের এপ্রিলে ভারতে করোনার ব্যাপক সংক্রমণের সময় দেশজুড়ে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। করোনার চেয়েও অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছিল বহু মানুষের। সেই সময় বিনামূল্যে করোনা আক্রান্তদের অক্সিজেন জোগান দিয়েছিলেন অটোচালক জাভেদ।
এসময় নিজের অটোরিকশাকে অ্যাম্বুল্যান্সে রূপান্তর করেছিলেন জাভেদ। আর সেটিতে করেই বহু মানুষকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। এমন মহৎ কাজ করে ব্যাপক প্রশংসিত হন ভোপালের এই অটোচালক।