
কুইবেকে অধিকাংশ সংক্রমণের জন্য দায়ী বিএ.২ সাবভ্যারিয়েন্ট আগের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি সংক্রামক হলেও অতোটা মারাত্মক নয়। প্রদেশের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে ৯০ শতাংশ কোভিড-১৯ সংক্রমণ দৈব চয়নভিত্তিতে স্ক্রিনিং করেছে কুইবেক এবং এজন্য দায়ী বিএ.২ সাবভ্যারিয়েন্ট। অর্থাৎ, গত ব্যাপক সংক্রমণের জন্য দায়ী ওমিক্রনের বিএ.১ সাবভ্যারিয়েন্টের জায়গা নিয়েছে ভ্যারিয়েন্টটি।
গত মঙ্গলবার ইনস্টিটিউটের তরফ থেকে বলা হয়, বিএ.২ সংশ্লিষ্ট অসুস্থ্যতা ও হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি বিএ.১ এর সঙ্গে তুলনীয়। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পর্যন্ত তা উপসর্গযুক্ত সংক্রমণ প্রতিরোধে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ কার্যকর থাকে। এ ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৪০ থেকে ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিয়ে থাকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ।
ইনস্টিটিউট বলছে, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সাত মাস পর্যন্ত বিএ.২ এর কারণে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্য ঠোকাতে তা ৭৭ থেকে ৮৫ শতাংশ কার্যকর থাকে। তৃতীয় ডোজ নেওয়ার পর এর কার্যকারিতা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৮ থেকে ১০০ শতাংশ।
কুইবেকের তরফ থেকে মঙ্গলবার কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে রোগী ভর্তি ২৫ জন বেড়েছে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া মারা গেছে আরও ২৭ জন। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৪১ জন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় ও ১১৬ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯৫ জনে। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৬ জন রোগী। পিসিআর পরীক্ষায় নতুন করে ১ হাজার ১৯৪ জন কোভিড শনাক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ, শনাক্তের হার ৯ দশমিক ২ শতাংশ।