
আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে না দিয়ে পুলিশ কুইবেকের এক ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার হরণ করেছে বলে জানিয়েছে কানাডার সুপ্রিম কোর্ট। প্যাট্রিক ডুসল্টের মামলায় শুক্রবার আদালত সর্বসম্মত এই রায় প্রদান করে। কুইবেকের গ্যাটিনোতে হত্যা ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় ২০১৩ সালে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
ডুসল্ট টেলিফোনে একজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন এবং অভিযুক্ত তার পরামর্শ বুঝতে না পারায় তাকে থানায় দেখা করতে বলা হয়। সে পর্যন্ত এ নিয়ে কারও সঙ্গে কথা না বলতে ডুসল্টকে পরামর্শ দেন আইনজীবী। পুলিশ পরবর্তীতে ওই আইনজীবীকে জানিয়ে দেয় যে, ডুসল্টের সঙ্গে তাকে দেখা করতে দেওয়া হবে না। তারপরও আইনজীবী থানায় যান। কিন্তু পুলিশ তাকে মক্কেলের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেয়। আইনজীবী এরপর হাতে লেখা একটি নোট রেখে চলে যান। সেখানে বলা হয়, তিনি ডুসল্টের অধিকার বিষয়ে আশিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের আগে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। ওই সন্ধ্যায় তিনি থাকবেন। পরে পুলিশ ডুসল্টকে একটি সেলে রাখার কথা জানিয়ে দেয়, যেখানে একজন পুলিশ কর্মকর্তা তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তৈরি ছিল।
আইনজীবী এসেছিলেন কিনা ডুসল্ট তা জানতে চাইলে বলা হয়, আইনজীবী থানায় উপস্থিত নেই। আসন্ন জিজ্ঞাসাবাদে ডুসন অপরাধ স্বীকার করে বিবতি দেন। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ডুসল্ট দোষী সাব্যস্ত হন। হত্যা মামলায় তিনি অপরাধ স্বীকার করে যে বিবৃতি দিয়েছিলেন তা খন্ডাতে ব্যর্থ হন। ডুসল্ট হত্যাকা-েও দোষী সাব্যস্ত হন এবং কুইবেক আপিল আদালত আগের রায় সরিয়ে রেখে তাকে আপিলের সুযোগ দেয় ও নতুন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি মাইকেল মালডাভার তার আদেশে লেখেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির কোনো কিছু রাখার অধিকার নেই এবং অব্যাহতভাবে তাকে পরামর্শক দিয়ে সহায়তা করা পুলিশের দায়িত্ব নয়। কিন্তু সাধারণ আইনের কিছু ব্যতিক্রমও আছে। উদাহরণ হিসেবে পুলিশের কারণে প্রাথমিকভাবে দেওয়া তথ্যে ঘাটতি প্রমাণিত হলে। খবর: দ্য কানাডিয়ান প্রেস।