
একাধিকবার চেষ্টা করেও যারা বাড়ি কিনতে পারেননি তারা এখন দুই বছর ধরে চলা এ পাগলামো থেকে কিছুটা স্বস্তি চাইছেন। টরন্টো, ভ্যানকুভার ও মন্ট্রিয়লের ব্রোকাররা বলছেন, এমন অনেক বাড়ি আছে যেগুলো কিনতে খুব কম ক্রেতাই দর প্রস্তাব করছেন। যদিও কয়েক মাস আগেও পরিস্থিতি ছিল ঠিক এর উল্টো। তবে প্রতিযোগিতায় হ্রাস বাড়ির মূল্য বড় পরিসরে কমাতে পারছে না।
টরন্টোর চেস্টনাট পার্ক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের একজন ব্রোকার সারা রওশনবিন বলেন, ১ হাজার বর্গফুটের কম আয়তনের বা ১৫ লাখ ডলারের সেমি ডিটাচড অথবা ২০ লাখ ডলার মূল্যের বাড়ি ক্রয়ে ফেব্রুয়ারির তুলনায় খুব কম মানুষই দর প্রস্তাব করছেন। আগে যেখানে আমাকে ১৫ জনের বেশি মানুষের বিপরীতে দর প্রস্তাব করতে হতো এখন সেখানে করতে হচ্ছে চার থেকে পাঁচ জনের বিপরীতে।
টরন্টো রিজিয়নাল রিয়েল এস্টেট বোর্ড (টিআরআরবি) সপ্তাহের গোড়ার দিকে জানিয়েছিল, আবাসন বাজারে এপ্রিলে বিক্রি হওয়া বাড়ির সংখ্যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪১ শতাংশ কমে গেছে। আর মার্চের তুলনায় বিক্রি কমেছে ২৭ শতাংশ।
বাড়ির গড় দাম মার্চে যেখানে ১৩ লাখ ডলার ছিল এপ্রিলে সেখানে ১২ লাখ ডলারে নেমে এসেছে। তারপরও এক বছর আগের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি আছে। ওই সময় বাড়ির গড় দাম ১০ লাখ ডলারের ওপরে ছিল।
কুইবেক প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব রিয়েল এস্টেট ব্রোকারসের তথ্য অনুযায়ী, মন্ট্রিয়লে গত মাসে এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় বাড়ি বিক্রি ১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০১৭ সালের পর এটাই আবাসন বাজারের জন্য সবচেয়ে নিষ্ক্রিয় এপ্রিল মাস।
বাজারে কিছুটা নমনীয়তা দেখা গেলেও ক্রেতারা যে খুব বেশি স্বস্তি পাচ্ছেন তেমন নয়। একক পরিবারের উপযোগী বাড়ির গড় দাম এপ্রিলে ২০২১ সালের একই
সময়ের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮০ হাজার ডলারে। গত মার্চে এ ধরনের বাড়ির গড় দাম ছিল ৫ লাখ ৬৬ হাজার ডলার। কন্ডোমিনিয়ামের গড় দাম আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেড়ে ৪ লাখ ১০ হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে।