
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় বিষপানে আত্মহত্যা করেছে সোমা আক্তার নামের এক স্কুলছাত্রী। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত সোমা আক্তার বুরুঙ্গা গ্রামের জুলফিকার আলীর মেয়ে। সে মেলান্দহের রাবেয়া ইসলাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ত।
আজ রবিবার সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পুলিশ ও ওই ছাত্রীর পরিবার সূত্র জানায়, মেলান্দহ পৌরসভার শাহজাদপুর এলাকার সাবেক কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন কালুর ছেলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ইয়াসিনের (১৯) সঙ্গে পার্শ্ববতী বুরুঙ্গা গ্রামের জুলফিকার আলীর মেয়ে সোমা আক্তারের (১৬) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো বোন। তাদের এই প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে গত এক মাস ধরে দুই পরিবারের মধ্যে বিয়ের আলাপ আলোচনা চলছিল। কিন্তু ছেলের পরিবার কয়েকদিন আগে তাদের বিয়ের ব্যাপারে আপত্তি জানায়। গতকাল শনিবার দুপুরে ইয়াসিন দেখা করার জন্য সোমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি ফিরে সোমা বিষপান করে।
পরিবারের সদস্যরা তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে মেলান্দহ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে জামালপুর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। আবস্থার অবনতি হওয়ায় জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শনিবার রাতেই সে মারা যায়। খবর পেয়ে আজ রবিবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় মেলান্দহ থানা পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্রীর প্রেমিক ইয়াসিন ও তার স্বজনরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম জানান, বিষপান করায় স্কুলছাত্রী সোমার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।