
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লিবারেল ও নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির নীতি যথেষ্ট আগ্রাসী নয় বলে মন্তব্য করেছেন গ্রিন পার্টির নেতা মাইক শ্রেইনার। একইসঙ্গে গ্রিন ইকোনমি খাতে চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণকে ফি মুক্ত করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
শ্রেইনার বলেন, জলবায়ু সংকট পুরোপুরি মোকাবেলায় যে ধরনের উচ্চাকাক্সক্ষার প্রয়োজন দুর্ভাগ্যবশত লিবারেল ও এনডিপির মধ্যে সে ধরনের পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। গ্রিন পার্টির সম্প্রসারণ এবং কুইন’স পার্কে এর কার্যকারিতার কারণে অন্য দলগুলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে এগোচ্ছে আমরা তা দেখেছি। এই ইস্যুতে দলগুলোর আরও আগ্রাসী হওয়া প্রয়োজন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলে এর জন্য অপেক্ষা করার মতো অবস্থা আমাদের নেই।
সবুজ অর্থনীতির খাতে ৬০ হাজার শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অন্টারিওর চাকরির বাজারকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে দলের পরিকল্পনা রয়েছে বলে শুক্রবার ঘোষণা দেন শ্রেইনার। নারী, আদিবাসী ও প্রান্তিক লোকজনকে নির্বচনের লক্ষ্য রয়েছে দলটির।
গ্রিন পার্টির এ উদ্যোগ চার বছর ধরে চলবে এবং ব্যবসায় কলেজ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তা শুরু হবে। শ্রেইনার বলেন, এই খাতের আমাদের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। গ্রিন বিল্ডিং রেট্রোফিট কর্মসূচিকে যেসব প্র্রতিবন্ধকতাকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে কর্মী সংকট সেগুলোর অন্যতম। জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় সহায়তা করার অংশ হিসেবে তরুণদের অনেকেই ভালো বেতনের অর্থপূর্ণ ক্যারিয়ার প্রত্যাশা করেন। সেটা অর্জনের ভালো সুযোগ রয়েছে এখানে।
অন্টারিওর ১২৪টি রাইডিংয়ে এখনও প্রার্থী দিতে পারেনি গ্রিন পার্টি। কিন্তু সব আসনেই নির্বাচন করার ব্যাপারে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে শুক্রবার জানান শ্রেইনার। সার্নিয়া-ল্যাম্বটন ও এসেক্সসহ চারটি রাইডিংয়ে এখনও প্রার্থী দিতে পারেনি গ্রিন পার্টি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনে গ্রিন পার্টি ভোট পেয়েছিল ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। তার আগে অর্থাৎ ২০১৫ সালের নির্বাচনে তাদের ভোটের হার ছিল সাকল্যে ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ।