
কন্যাদান যোজনাটি ২০০৬ সালে চালু করা হয়েছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল সুবিধাবঞ্চিত পরিবারগুলোকে তাদের মেয়েদের বিবাহের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। রয়টার্সের ফাইল ছবি। ডানে অভিযুক্ত নৈতিক চৌধুরী ও তার স্ত্রীর ছবি (টুইটার থেকে নেওয়া)
‘মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনা’র সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজের স্ত্রীকে নিয়ে সরকারি গণবিবাহ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাক্ষী রেখে সাতপাক ঘুরে মালাবদলের তোড়জোড়ও শুরু করেছিলেন। সরকারি অর্থসাহায্য পাওয়ার জন্যই কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর পদাধিকারি নৈতিক চৌধুরী এমন কাজ করেন বলে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের অভিযোগ। ঘটনার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
শিবরাজ সিং চৌহান ক্ষমতায় ফেরার পরেই জেলায় জেলায় মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনা প্রকল্পে গণবিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু করেছেন। সেখানে নবদম্পতিদের সরকারি সাহায্যেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাগর জেলার ধর্মশ্রীর বালাজি মন্দিরে এমনই এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ, সেখানেই হাজির হয়েছিলেন নৈতিক ও তার স্ত্রী। যদিও আয়োজকেরা তাকে চিনে ফেলে পুলিশে খবর দেন। কারণ, আয়োজকদের কয়েকজন জানতেন গণবিবাহ অনুষ্ঠানের দিন পনেরো আগেই ঘরোয়া অনুষ্ঠানে নৈতিকের বিয়ে হয়েছিল।
ঘটনার কথা জেনেই হতেই বালাজি মন্দিরে পৌঁছায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় নৈতিককে। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি শাসকদল বিজেপি।
গ্রেফতার নেতার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক দিয়ে মধ্যপ্রদেশের শাসকদলের নেতা লোকেন্দ্র পরাশর টুইটারে লিখেছেন, ‘এই কীর্তিমান এনএসইউআই-এর জাতীয় আহ্বায়ক। মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনার সুবিধা নিতে দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে গিয়েছিলেন। পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে। কমলনাথজি (মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা) কী বলেন!’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা