
গিয়েছিলাম ব্রামটন শহরে এক বন্ধুর বাসায়। সেখানে রাতের খাবার খেতে বসেছি এমন সময় আকবর ভাইয়ের ফোন। তিনি বললেন, আকতার ভাই, আমাদের সায়ীদ ভাই চলে গেছেন…আকবর ভাইকে বললাম মনটাকে শক্ত করেন। সায়ীদ ভাই মুক্তির স্বাদ পেয়েছেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।
আজ হাইওয়েতে অনেক জ্যাম ছিল। গভীর রাতে ঘরে ঢুকলাম। আকবর ভাই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, ‘এক সিংহ পুরুষের তিরোধান। সেই পোস্টে সায়ীদ ভাইয়ের ভক্তদের লেখা ও প্রতিক্রিয়া পড়লেই বোঝা যায় কতোটা উচ্চ মাপের লোক ছিলেন তিনি। যার মৃত্যুতে আমরা এভাবে ভেঙ্গে পড়েছি তিনি মৃত্যুকে হাত দিয়ে গুনতে পারতেন। জীবন মৃত্যু সম্পর্কে তাঁর যে জ্ঞান এবং উচ্চতর ধারণা ছিল সেসব এখন মনে পড়ছে এবং তাতেই মনে হচ্ছে তিনি আমাদের সকলের কথা এখনও শুনতে পাচ্ছেন।
ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার চেক করে দেখতে পাচ্ছি, সায়ীদ ভাই আমাকে শেষ কথা লিখেছেন মে মাসের ২২ তারিখ দুপুর ২, ১৮ মিনিটে। তিনি লিখেছিলেন ‘আমি তো বলেছি আমি হাসি নাই’। এই তাঁর শেষ লেখা। এদিকে আজ সকাল ৯, ০১ মিনিটে আমি তাঁকে একটি গান পাঠিয়েছিলাম। তিনি শুনেছেন কিনা বুঝতে পারছি না। কবিগুরুর সে গানের কয়েকটি
কথা এরকম;
ফুল সে হাসিতে হাসিতে ঝরে
জোছনা হাসিয়া মিলায়ে যায়
হাসিতে হাসিতে আলোক সাগরে
আকাশের তারা তেয়াগে কায়।
স্কারবোরো, অন্টারিও, কানাডা