
কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে হোয়াইট হাউজের অভিন্ন অনেক কারণ আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কিস্টোন এক্সএল পাইপলাইন প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন না হওয়ারও আহ্বান জানান। রিডো কটেজের বাসভবন থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে কানাডিয়ানদের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি। ট্রুডো বলেন, বাইডেন যুগে দুই দেশের অংশীদারিত্বের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় উভয় দেশই যখন একই লক্ষ্যে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক সব সময় একই রকম হবে বিষয়টি তেমন নয়। যেকোনো প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য।
জো বাইডেন ও জাস্টিন ট্রুডো শুক্রবার ৩০ মিনিট কথা বলেন। আলাপকালে কিস্টোন এক্সএল পাইপলাইন প্রকল্প বাতিলের জন্য হতাশা প্রকাশ করেন ট্রুডো। এর ফলে কানাডাকে যে সমস্যায় পড়তে হয়েছে জো বাইডেনও সেটি স্বীকার করেন।
উভয় নেতার মধ্যকার কথোপকথনের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, দ্বিপক্ষীয় জ¦ালানি সম্পর্কের বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে জ¦ালানি কর্মীদের প্রতি সমর্থনের বিষয়টিও তুলে ধরেন। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে উচ্চাভিলাসি জরুরি কাজের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উভয় নেতাই পুনর্ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির প্রতি তাদের সমর্থনের কথাও জানান। পাশাপাশি শূন্য নিঃসরন, কার্বন নিঃসরণমুক্ত যানবাহন ও আন্তঃসীমান্ত পরিচ্ছন্ন জ¦ালানি সরবরাহে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন উভয় নেতা।
দুই নেতার ফোনালাপ নিয়ে পৃথক বিবৃতি প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউসও। তাতে বলা হয়েছে, বিদেশি নেতা হিসেবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গেই প্রথম কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্ব এবং মহামারি মোকাবেলা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালীকরণ, প্রতিরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বৈশি^ক নেতৃত্বের ভূমিকার ওপর জোর দেন বাইডেন।