
সরকারি হাসপাতালে নার্স পদে স্থায়ী চাকরি পেয়েছে স্ত্রী ,তাই চলে যেতে পারে অন্যের হাত ধরে। এমন আশঙ্কায় স্ত্রীর হাত কেটে দিলো স্বামী ! ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার পূর্ব কেতুগ্রাম এলাকায়।
অভিযুক্ত শরিফুল শেখ কর্মহীন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরেই হীনমন্যতায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্ত্রী রেনু খাতুন বর্তমানে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, রেণু খাতুনের সঙ্গে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে শরিফুল শেখের বিয়ে হয়। দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়। রেণুর বাবা আজিজুল হক জানান,রেণু খাতুনের বাবা আজিজুল হক বলেন, ‘মেয়ে আমাদের বলছিল ওকে চাকরি করতে দেবে না জামাই। এমনকী মেয়ের উপর চাপ দিচ্ছিল শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। মেয়ে সরকারি চাকরির সুযোগ ছাড়তে চায়নি। কিন্তু ওরা এমন করবে ভাবিনি। জামাই শরিফুল শেখ, রেণু যখন শুয়ে পড়েছিল চখন দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে চড়াও হয়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে রেণুর ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।’ রেণুর চিৎকারে প্রতিবেশীদের ঘুম ভাঙে। রাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মেয়ের বিয়েতে তিনি নগদ এক লাখ টাকা, আট ভরি গয়না, একটি স্কুটি এবং আরও বেশকিছু জিনিস যৌতুক হিসাবে দিয়েছিলেন। আজ মেয়ের উপর হামলা করল শরিফুল।
তার অভিযোগ, ঘুমন্ত অবস্থায় রেনুর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান হাতের কব্জির নিচ থেকে কেটে দেয়। কাটা হাত বাড়িতে রেখেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে রেণুকে নিয়ে যাওয়া হয় যাতে চিকিৎকরা হাত জোড়া না লাগাতে পারেন। শের মহম্মদ রেনু খাতুনের প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি নিয়ে গা ঢাকা দেয়।
এমন ঘটনার জেরে সরকারি নার্সিং চাকরির প্যানেলভুক্ত হয়েও কেতুগ্রামের চিনিসপুর গ্রামের তরুণী রেণু খাতুনের নার্সের চাকরি করা এখন অনিশ্চিত।
এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক শরিফুল শেখ ও তার পরিবারের সদস্যরা। কেতুগ্রাম থানার পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।