
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে রূপায়ণ টাওয়ারের নকশা অনুমোদনে মনিরুল হক সাক্কু ৮০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য আ. ক. ম বাহাউদ্দিন বাহারের এমন মন্তব্য রীতিমতো ঘূর্ণি বয়ে দিয়েছে ভোটের মাঠে। তার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাক্কু মঙ্গলবার পাল্টা আঘাত হানলেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি শুনছি, নৌকা প্রতীক আনতে ৬০ কোটি টাকা ঘুষ দিছে। আমি তো এই কথা বিশ্বাস করি না। দল যারে ভালো মনে করছে তারে নমিনেশন দিছে।’
সাক্কু মঙ্গলবার নগরীর আদালতপাড়ায় প্রচারে নামেন। এ সময় তার বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের আনা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কারও বৈধ টাকা থাকলে চান্দের দেশে বাড়ি বানাতে পারেন। এতে কার কী আসে যায়। আমি কানাডায় বেগমপাড়ায় বাড়ি বানাইনি। আমার ইচ্ছাও নাই দেশের বাইরে থাকার।’
নগরীর কান্দিরপাড়ে রূপায়ণ টাওয়ারের নকশা অনুমোদনে ৮০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে এমপি বাহারের অভিযোগ প্রসঙ্গে সাক্কু বলেন, ‘এসব ভুল কথা। সব অপপ্রচার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের দিন সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কায় তো আছি, আমার নেতাকর্মীরাও শঙ্কায় আছে। আশা করি, প্রশাসন সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ করবে।’
এদিন নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত নগরীর দক্ষিণ চর্থা, কাটাবিল ও মুরাদপুর এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি বলেন, ‘কুসিকের উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা লুট করেছেন সাক্কু। বিজয়ী হলে সাক্কুর দুর্নীতি খুঁজে বের করব। নগরবাসীর প্রধান সমস্যা যানজট ও জলাবদ্ধতা। এ কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে শেষ করব।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার দিনভর নগরীর শ্রীভল্লবপুর, বড় দুর্গাপুর, শীমন্তপুর, উত্তর রামপুর, হিরাপুর, গোপীনাথপুর, মেস্তাফাপুর, লক্ষ্মীপুর, কচুয়া ও দৌয়ারা এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থাহীনতায় আমার দল (বিএনপি) নির্বাচনে আসেনি। বর্তমান নতুন নির্বাচন কমিশন তো শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে। নতুন কমিশনের কথার সঙ্গে মাঠের কার্যক্রম ঠিক রাখবে বলে আশা করি।