12.9 C
Toronto
মঙ্গলবার, মার্চ ১৮, ২০২৫

গর্ভপাতের সুযোগ পেতে বাধার মুখে অভিবাসী নারীরা

গর্ভপাতের সুযোগ পেতে বাধার মুখে অভিবাসী নারীরা - the Bengali Times
ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার সহকারী অধ্যাপক লিন্ডসে ল্যারিওস বলেন অভিবাসী কর্মীদের অনেকেই জনস্বাস্থ্য সেবা পেলেও সবাই পান না

বেশ কয়েকজন অভিবাসী নারীকে কানাডায় গর্ভপাত সুবিধা পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন ইভলিন এনকালাদা গ্রেজ। তাদের মধ্যে একজনের কথা মনে পড়ে গ্রেজের।

আন্তর্জাতিক গবেষক ও অভিবাসী নারীদের নিয়ে কাজ করা এনকালাদা গ্রেজ বলছিলেন, অভিবাসী ওই নারী এতোটাই ভয়ার্ত ছিলেন যে, অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য তাকে ফার্মের বাইরে নিয়ে যেতে হয়েছিল। গর্ভপাত প্রক্রিয়ার জন্য টরন্টো নেওয়ার জন্য যেদিন তিনি ওই অভিবাসীকে নারীকে নিতে আসেন সেদিন বৃষ্টি হচ্ছিল। যেহেতু ওই নারী নজরে পড়ে যেতে পারেন এই ভয়ে খুবই উদ্বেগে ছিলেন, তাই এনকালাদা গ্রেজের সঙ্গে তিনি দেখা করেছিলেন নায়াগ্রা অঞ্চলের ওই ফার্মের বাইরে।
ওইদিনের কথা মনে করে এনকালাদা গ্রেজ বলেন, আমার যদি কোনো বন্ধু বা গর্ভপাত প্রক্রিয়া সম্পাদন করে পরিচিত এমন কেউ না থাকতো তাহলে অভিবাসী ওই নারীর জীবনে কী ঘটতো?

- Advertisement -

এনকালাদার এই অভিজ্ঞতা অভিবাসী আরও যেসব নারীকে তিনি গর্ভপাতে সাহায্য করেছেন তাদের মতোই। কানাডার অভিবাসী নারীরা স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি বিশেষ করে গর্ভবতী হলে সেবাটি পেতে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়েন। নিয়োগদাতা জানতে পারলে বাড়ি পাঠিয়ে দেবেন এই ভয়ে গর্ভ ধারণের খবরটি চেপে রাখেন অনেকে। কর্মীরা মূলত নিয়োগদাতার সরবরাহ করা ভবনেই থাকেন এবং গোপনে স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুযোগ নেই। অনেকে আবার প্রান্তিক বা গ্রামীণ অঞ্চলে থাকেন যেখানে গর্ভপাতের সুযোগ খুবই সীমিত এবং পরিবহন সুবিধা পাওয়াও দুষ্কর। সেই সঙ্গে তাদের নিজস্ব ভাষায় সেবা প্রাপ্তির বাধা তো রয়েছেই।

এক্ষেত্রে আরেকটি প্রধান কারণ হলো খরচ বলে জানান যৌনকর্মী, সামাজিক, আইনী ও স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের নিয়ে সংগঠন বাটারফ্লাইয়ের নির্বাহী পরিচালক এলেন ল্যাম। মূলত এশীয় ও অভিবাসী যৌনকর্মীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে সংগঠনটি। ল্যাম যেসব অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করেন তারা সাধারণত প্রাদেশিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় নেই। স্বাস্থ্যসেবা নিতে হলে তা নিজ খরচে নিতে হয়। গর্ভধারণ সংক্রান্ত বিষয় হলে সেক্ষেত্রে কয়েকশ থেকে দেড় হাজার ডলারের মতো খরচ হয়ে যায়।

ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার সহকারী অধ্যাপক লিন্ডসে ল্যারিওস বলেন, অভিবাসী কর্মীদের অনেকেই জনস্বাস্থ্য সেবা পেলেও সবাই পান না।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles