করোনা মহামারীর মধ্যে কানাডার বিভিন্ন পর্যায়ের মন্ত্রীদের ছুটিতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দেশটিতে যারা অসন্তোষ দেখা দিয়েছে প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তাদের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ছুটি কাটাতে বিদেশে যাওয়া উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, ছুটিতে বিদেশ সফর বাতিলের চেয়েও মানুষ বেশি কিছু বিসর্জন দিয়েছে। কানাডার বহু মানুষকে দায়িত্বশীল কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এর পেছনে উপযুক্ত কারণও রয়েছে। এটা তারা করেছেন তাদের চারপাশে থাকা মানুষগুলোকে রক্ষার জন্য।
কানাডার জনস্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৬ হাজারের বেশি মানুষ। আর সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭৭ হাজারের উপরে।
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার কারণে সবেতন ছুটির নতুন যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে তাতে পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে যারা কোয়ারেন্টিনে আছেন তাদের জন্য এক হাজার ডলার পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ট্রুডো বলেন, সহায়তার অর্থ এভাবে ব্যয় করতে হবে, সরকার তা কল্পনাও করতে পারেনি। কর্মসূচিটি নেওয়া হয়েছিলে অসুস্থ্যতাজনিত ছুটিতে থাকা ব্যক্তিদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে। অথবা তাদের জন্য যাদের নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো সহায়তা কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। বিদেশ ভ্রমণ করে দেশে ফিরে যারা কোয়ারেন্টিনে আছেন তাদের প্রদানের জন্য নয় এটি। তাই অনাবশ্যক প্রয়োজনে কারোরই বিদেশ সফরে যাওয়া উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইল্লেখ্য, সম্প্রতি ছুটি নিয়ে হাওয়াই ভ্রমণ করেন অ্যালবার্টার মন্ত্রী মিউনিসিপাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী ট্রেসি অ্যালার্ড। এ ঘটনায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। বাধ্য হয়ে ভুল স্বীকার ক্ষমাও প্রার্থণা করেন। এরআগে ছুটি নিয়ে পারিবারিক ভ্রমণে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন অন্টারিওর অর্থমন্ত্রী রড ফিলিপস্। লকডাউন এবং কঠোর করোনা শিষ্টাচার লঙ্ঘনের অভিযোগে পদত্যাগ করেন তিনি। ক্ষমা প্রার্থনাও করেন জাতির সামনে।