
কতো মানুষ আড্ডায় বসে লম্বা লম্বা গল্প শোনান। কিন্তু আমি নিজে কখনো গল্প বলতে পারি না। গল্প বলা শুরু করলে পাঁচ-দশ মিনিট পরেই ফুরিয়ে যায়। যদি কোনো একটা গল্প পড়ে নিয়েও সেটি বলার চেষ্টা করি তাহলেও বেশি এগুতে পারি না। সাহিত্যের ছাত্র হয়েও এই না-পারাটা আমাকে বেশ হীনমন্যতায় ভোগায়। কখনও কখনও বোঝার এবং খোঁজার চেষ্টা করেছি আমার ব্যর্থতার কারণ।
আসলে আমি যখন গল্প বলি, তখন সেটি গল্প না হয়ে গল্পের প্লট হয়ে যায়। অর্থাৎ গল্পটি যে কার্যকারণকে আশ্রয় করে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যায় সেটিই আমার প্রধান আকর্ষণ। কোন জায়গায় কতটুকু না থাকলে অযৌক্তিক হত, বা কোন জায়গায় কতটুকু থাকাটা যৌক্তিক হয়নি সমালোচকের চোখে সেটিই শুধুমাত্র দেখি আমি। কিন্তু গল্প তো আসলে শুধু ঐ কঙ্কালটি নয়, গল্প হলো কঙ্কালকে আশ্রয় করে যে পূর্ণ রূপ সেটি।
তার মানে সেটি মাংস-চর্ম দিয়েই পূর্ণ হবে, তা কিন্তু নয়। আরও জিনিস লাগবে। যেমনটি একজন পূর্ণ মানুষের লাগে। গল্পের হৃদয়বোধ থাকবে, আর থাকবে বুদ্ধির স্পর্শ।
ইস্টইয়র্ক, অন্টারিও, কানাডা