
ট্রান্সজেন্ডার ও ননবাইনারি তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার চিন্তা ও প্রবণতা সিসজেন্ডারদের তুলনায় বেশি। কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সোমবার প্রকাশিত ইউনিভার্সিটি অব অটোয়ার ওই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, সমীক্ষার আগের ১২ মাসে গুরুত্বের সঙ্গে আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন বলে জানিয়েছেন অর্ধেক ট্রান্সজেন্ডার তরুণ। সার্বিকভাবে মোট ১৪ শতাংশ অ্যাডোলেসেন্ট গত এক বছরে আত্মহত্যার কথা ভাবার কথা জানিয়েছে। ৬ দশমিক ৮ শতাংশ জানিয়েছে, নিজের প্রাণ নিজে নেওয়ার চেষ্টা তারা করেছিল। তবে আত্মহত্যার কথা চিন্তা করা তরুণ সিসজেন্ডারের পাঁচগুন। আর আত্মহত্যার চেষ্টাকারী ট্রান্সজেন্ডারের হার এর ৭ দশমিক ৬ গুন।
গবেষণার লেখক ইউনিভার্সিটি অব অটোয়ার ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের অধ্যাপক ড. ইয়ান কোলম্যান বলেন, এটা খুবই উদ্বেগজনক। স্টিগমা কমার পাশাপাশি আমরা সামাজিক অগ্রগতি দেখলেও এটা ঠিক যে আামাদের তরুণদেররকে কঠিন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
গবেষণার জন্য স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার প্রকাশিত ২০১৯ সালের কানাডিয়ান সার্ভে অব চাইল্ড অ্যান্ড ইয়ুথ হেলথের উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছেন কোলম্যান ও তার দল। ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী মোট ৬ হাজার ৮০০ তরুণের উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছেন তারা। এর মধ্যে ৯৯ দশমিক ৪ শতাংশ সিসজেন্ডোর এবং অবশিষ্ট দশমিক ৬ শতাংশ ট্রান্সজেন্ডার।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশই হেটেরোসেক্সুয়াল। ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ এক লিঙ্গের বেশি লিঙ্গে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। তবে তাদের আগ্রহের বিষয়ে ঠিক নিশ্চিত নন বলে জানায় সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪ দশমিক ৩ শতাংশ তরুণ।
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া তরুণ নারীদের ১ দশমিক ৬ শতাংশ সমলিঙ্গে আসক্তির কথা জানিয়েছে। ছেলেদের মধ্যে এ হার দশমিক ৮ শতাংশ।
কোলম্যান বলেন, ট্রান্সজেন্ডার লোকদের জন্য বয়:সন্ধিকাল বিক্ষুব্ধ সময় হয়ে উঠতে পারে। এমনকি যারা অন্যের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল তারাও এ বিক্ষুব্ধতা থেকে নিস্কৃতি পায় না। এ ধরনের সহায়তা পাওয়ার সুযোগ যাদের নেই সেসব তরুণদের জন্য এটা আরও কঠিন এবং অবশ্যই এ ঝড় তাদের নিজেদেরকেই থামাতে হবে।
উল্লেখ্য, অ্যাডোলেসেন্ট এবং ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী কানাডিয়ানদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হচ্ছে আত্মহত্যা।