
উপশহরের মার্কেটসহ টরন্টোতে তৃতীয় প্রান্তিকে অফিস খালি থাকার হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ। ভ্যানকুভারে এ হার ৭ দশমিক ৪ এবং মন্ট্রিয়লে ১৪ দশমিক ৭ এবং ল ও ক্যালগেরিতে ৩০ দশমিক ১ শতাংশ। তবে শিল্পাঞ্চলের ছবিটা ঠিক ভিন্ন। ডিস্ট্রিবিউশন ও লজিস্টিক স্পেসের চাহিদা সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছানোয় সেখানে অফিস খালি থাকার হার অনেক কম।
সিবিআরই বলছে, তৃতীয় প্রান্তিকে শিল্প এলাকায় জাতীয়ভাবে অফিস খালি থাকার হার ছিল ২ শতাংশ। তবে ভ্যানকুভার, লন্ডন, ওয়াটারলু অঞ্চল ও টরন্টোর মতো কিছু বাজারে এ হার ১ শতাংশেরও কম।
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কানাডায় অফিস খালি থাকার হার কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। মার্কেটে নতুন অফিসের জোগান অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকলেও কর্মীদের প্রত্যাবর্তন ধীর হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআরই গ্রুপ ইনকর্পোরেশন।
কমার্শিয়াল রিয়েল এস্টেট ফার্ম বৃহস্পতিবার বলেছে, সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া প্রান্তিকে জাতীয়ভাবে অফিস খালি থাকার হার ১৫ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। গত প্রান্তিকে যেখানে এ হার ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। ১৯৯৪ সালের পর অফিস খালি থাকার হার এতো বেশি আর কখনই দেখা যায়নি।
সিবিআরইর ভাইস চেয়ারম্যান পল মোনরাসুতি বলেন, সেপ্টেম্বরে সবকিছু স্বাভাবিক হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটা বিলম্বিত হচ্ছে। চাপ সত্ত্বেও এ বাজারকে ঘুরে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক মালিকদের অপেক্ষার কারণে দামও মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। আমার মনে হয়, সবার উচিত এ নিয়ে হতাশ না হওয়া, প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেওয়া এবং এটা উপলব্ধি করা যে অফিস মার্কেট ফুরিয়ে যাচ্ছে না।