
A friend in need is a friend indeed. প্রয়োজনের সময় যে বন্ধুকে পাওয়া যায় সেই প্রকৃত বন্ধ।
কিন্তুু কথা হল, বন্ধুর প্রয়োজনে সাহায্যটা করবেন কীভাবে? জীবন দিয়ে না টাকা দিয়ে?
আসলে এগুলোর কোনটা দিয়েই নয়। মনোবিজ্ঞানী ও রিলেশনশিপ এক্সপার্টগনের মতে, বিপদে পড়া একজন বন্ধুকে হেল্প করার সময় যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হয়:
প্রথমত: বন্ধুর বিপদের কথা শুনে ঘাবড়িয়ে না যাওয়া অথবা তার সমস্যা সমাধানের জন্য বেশী ইমোশনাল হয়ে না পড়া। খুবই স্বা্রবাবিক। বন্ধু ব্যাথায় আপনিও কাতর। আসলে যেটা করতে হবে তাহল: প্রথমে বন্ধুর ইমোশনটি বোঝার চেষ্টা করুন। Focus on emotion, rather than problem/solution. বন্ধুটির হয়ত ঐ মুহুর্তে তার ইমোশন টা থেকে বের হতে আপনার শরনাপন্ন হয়েছে; কিন্তুু আপনি তাকে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করছেন। তাতে উপকার করা হবেনা। কাজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রন করে বন্ধুর প্রয়োজনটি জানার চেষ্টা করুন।
দ্বিতীয়ত: বন্ধুর কথা মনোযোগ সহকারে শুনুন। Be nonjudgmental. তাকে একটু ব্রেক দিন। তার হয়ত টাকা পয়সার সমস্যা নেই। শুধু মনের কথা খুলে বলার লোক পাচ্ছে না। প্রয়োজনে বন্ধুর সাথে মজা করুন। মন খুলে কথা বলতে দিন। তাতেই বন্ধুর উপকার করা হবে।
তৃতীয়ত: বন্ধুর বিপদের সময় তার পাশে থাকা। পাশে থাকা মানে মানসিক অথবা শারীরিকভাবে নিজেকে উপস্থিত রাখা। দুরে থেকেও কারো পাশে থাকা যায়। পাশে থেকে বন্ধুর সমস্যাটি সমাধান করতে না পারলেও অসুবিধা নেই। শুধু পাশে থেকে বিপদে সাহস জোগাতে পারলেও প্রকৃত বন্ধুর কাজ হয়।
চতুর্থত: বিপদে পড়া বন্ধুর আসলে তার কী দরকার। তা জেনে নেয়া খুবই জরুরী। আপনি কোন জায়গাটিতে সাহায্য করতে পারবেন তা জানিয়ে দিন। Be specific. কারন এক জনের পক্ষে সব ধরনের সাহায্য করা সম্ভব নয়। আপনি যা করতে পারবেন তা বন্ধুর সাথে বা তার পরিবারের সাথে আলোচনা করে ঠিক করে নিন। আপনি হয়ত এক ধরনের সাহায্য করতে পারবেন; অন্যজন হয়ত অারেক ধরনের। না পারলে না করে দেয়া। তবে মিথ্যে আশ্বাস দেয়া উচিৎ নয় একবারেই। তাতে বন্ধুকে উপকার করার চেয়ে ক্ষতি করা হয়।
পঞ্চমত: বন্ধুর বিপদে সাহায্য করতে গিয়ে নিজের সামর্থ, শরীর ও মনের দিকে নজর রাখা উচিৎ। Self care is very important in helping others. নিজে অসুস্থ্য বা কপর্দক শুন্য হয়ে পড়লে অন্যকে সাহায্য করবেন কীভাবে? নিজেকে সুস্থ্য ও বিপদমুক্ত রাখাটা তাই জরুরী।
হঠাৎ বন্ধুর বিপদ সংবাদে হতভম্ব না হয়ে উপরিউক্ত কাজ গুলো করুন, দেখবেন সব কিছু কত সহজ হয়ে গেছে।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: মনোবিজ্ঞানী কেনেথ কার্টার।
স্কারবোরো, কানাডা