
অন্টারিওর সড়কগুলো ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠছে সিএএ সাউথ সেন্টাল অন্টারিওর নতুন এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, গত বছর অন্টারিওর ৯৮ শতাংশ চালকের আচরণ ছিল অনিরাপদ। ২০২ সালের তুলনায় তা ৩ শতাংশ বেশি।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৭২ শতাংশ চালক সড়কে বিশেষ করে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতির মহাসড়কে গাড়ি চালানোয় নিরাপদ মনে করেন, ২০২১ সালের সমীক্ষার চেয়ে যা ৬ শতাংশ কম। ৫৮ শতাংশ চালক বিপজ্জনক আচরণে সংশ্লিষ্টতানর কথা স্বীকার করেছেন। আর বেশি গতিতে গাড়ি চালান বলে জানিয়েছেন অন্টারিওর চালকদের ৪৩ শতাংশ। ১৭ শতাংশ চালক মনোসংযোগ হারানো, ৮ শতাংশ অনিরাপদ লেন পরিবর্তন এবং ৬ শতাংশ আগ্রাসীভাবে গাড়ি চালানোর কথা স্বীকার করেছেন।
ফোটো রাডার আছে এমন সড়ক এড়িয়ে চলেন বলে জানিয়েছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন চালক। ফোটো রাডার অতিক্রমের পর গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ৪৩ শতাংশ চালক।
সিএএ এসসিওর মাইকেল স্টুয়ার্ট বলেন, চালকদের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণের কথা শোনা রীতিমতো ভয়ানক। আপনি যদি বেশি গতি ও আগ্রাসী চালকের মুখোমুখি হন তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ হবে শান্ত থাকা এবং অন্য চালকের সঙ্গে নিজেকে না জড়ানো।
অতিরিক্ত গতি, স্টান্ট ও আগ্রাসী গাড়ি চালানো নিয়ে অন্টারিওজুড়ে পুলিশ সার্ভিসেস রিপোর্ট করা অব্যাহত রেখেছে। সড়কে গাড়ি চলাচল মহামারি পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে আসা চালকদের এই অনিরাপদ আচরণের একটা কারণ হতে পারে বলে মনে করেন স্টুয়ার্ট। তিনি বলেন, কিছু চালক বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া অন্টারিওর অর্ধেক চালক অতিরিক্ত গতিকে বড় সমস্যা বলে চিহ্নিত করেছেন। আগ্রাসী চালনা, অনিরাপদ লেন পরিবর্তন ও মনোসংযোগ হারানোকেও উদ্বেগের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন তারা। এ ধরনের আচরণ বেশি দেখা যায় উচ্চ গতির মহাসড়কগুলোতে।
অতিরিক্ত গতি ও স্টান্ট ড্রাইভিংয়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় অন্টারিও সরকার মুভিং অন্টারিয়ান্স মোর সেফলি আইন প্রণয়ন করেছে, ২০২১ সালের ১ জুলাই যা কার্যকর হয়েছে। আইনে ড্রাইভার’স লাইসেন্স বাতিলসহ বিভিন্ন ধরনের জরিমানার বিধান করা হয়েছে।