
গত ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হেলথ কানাডা ১ কোটি ৩৫ লাখ র্যাপিড টেস্ট কিট চূড়ান্ত গন্তব্যে পাঠিয়ে দিয়েছে। তবে অন্টারিওতে এখনও এর ব্যবহার শুরু হয়নি। এসব টেস্ট কিটের সিংহভাগই অন্টারিও র্যাপিড অ্যান্টিজেন স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম ও টরন্টো বোর্ড অব ট্রেড পরিচালিত সমান্তরালে আরেকটি প্রোগ্রামের আওতায় ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
আর্ল বিটি জুনিয়র অ্যান্ড সিনিয়র পাবলিক স্কুলের অভিভাবকরা প্রথম কোভিড পরীক্ষা নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন। তবে অন্য স্কুলগুলো এতোটা ভাগ্যবান নয়। যদিও অন্টারিওর স্কুলগুলোতে আক্রান্ত সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৫০ জনে, সব স্কুলের যা ১৬ শতাংশ।
এদিকে, অন্টারিওর স্থানীয় স্কুলগুলোতে এলিমেন্টিারি স্কুলগামী শিশুদের জন্য তাদের অভিভাবকরা নিজস্ব অ্যাসিমপ্টোমেটিক কোভিড-১৯ পরীক্ষার দিকে জোর দিচ্ছেন। কিন্তু সরকারের নীতির কারণে কিট পেতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ, এখন পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে র্যাপিড টেস্টকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
ডাফেরিন ও ড্যাভেনপোর্টের নিকটবর্তী রিগাল রোড জুনিয়র পাবলিক স্কুলে লিসা ওয়াইজ-মাইলস্টোন ১৫০ শিক্ষার্থীতে সপ্তাহে দুইবার পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট পেয়েছেন। এজন্য তাকে মামা আউল নামে একটি কমিউনিটি অর্গানাইজেশন প্রতিষ্ঠা করতে হয়েছে। এরপর তিনি টরন্টো রিজিয়ন বোর্ড অব ট্রেডে আবেদনের অনুমতি পান। জিটিএতে ১৫০ কর্মী সম্বলিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে টেস্ট কিট সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
ওয়াইজ-মাইলস্টোন সিপি২৪কে বলেন, আমি এটা করেছি এবং টেস্ট কিটের সরবরাহ পেয়েছি।
স্কুলের প্রথম দিন পরীক্ষা কর্মসূচিতে শিশুদের সাইন আপের জন্য বড় একটি ব্যানার নিয়ে রিগ্যাল রোডে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। ওয়াইজ-মাইলস্টোন বলেন, জনগণ মন্তব্য করছেন এবং তাদের শিশুদের ছবি দেখাচ্ছেন। তারা এটাকে বিজ্ঞঅনের পরীক্ষা হিসেবে দেখছেন এবং শিশুরা স্বচ্ছন্দে সোয়াব দিচ্ছে।
কিন্তু ওয়াইজ-মাইলস্টোনের কর্মসূচিটি ৩০০ শিক্ষার্থীর জন্য সম্প্রসারণ করতে হলে কাউকে পৃথক আরেকটি কমিউনিটি অর্গানাইজেশন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং আরও টেস্ট কিটের জন্য টরন্টো বোর্ড অব ট্রেডে নিবন্ধিত হতে হবে। তিনি বলছিলেন, আমার আশা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অ্যাসিমপ্টোমেটি র্যাপিড টেস্টের গুরুত্বের বিষয়টি প্রদেশ ও স্কুল বোর্ড অনুধাবন করবে, সংক্রমণের অধিক ঝুঁকিতে থাকা নেবারহুডগুলোর মধ্যে হলেও।