
মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মুম্বাইয়ের পশ্চিম আন্ধেরি এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, দিনের পর দিন সন্তানের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে দেখে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন মা। সেখান থেকেই মেয়েকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যদিও প্রথমে হত্যার কথা স্বীকার করেননি তিনি।
বুধবার রাতে আন্ধেরি পুলিশ কন্ট্রোলরুমে একটি ফোন আসে। জানানো হয়, আন্ধেরির সাহার রোড এলাকায় এক তরুণী নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বৈষ্ণবী সুরেশ নামে ১৯ বছরের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলেই ছিলেন মৃত তরুণীর মা শ্রদ্ধা সুরেশ এবং পরিবারের অন্যরা। মরদেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
মৃত তরুণীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তার গলায় ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। পুলিশ আবার ওই বাড়ির লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মৃত তরুণীর মা হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে সম্পূর্ণ বিষয় পুলিশের কাছে খোলাসা করেন তিনি।
অভিযুক্ত ওই নারী জানান, ছোট থেকেই তার মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন। কিছুদিন ধরে তার শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছিল। চোখের সামনে মেয়ের এই অবস্থা নাকি তাকে বিব্রত করে তোলে। তাই মেয়েকে প্রাণে মেরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে নিজেই মেয়ের আত্মহত্যার গল্প বানান।
জিজ্ঞাসাবাদের পর নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার।