
ভারতজুড়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সাবেক চেয়ারম্যান লোলিত মোদী। নেপথ্যে বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক।
বৃহস্পতিবার নিজের নতুন জীবনসঙ্গীর কথা ঘোষণা করেন লোলিত মোদী। এ নিয়ে হইচই পড়ে যায় নেটদুনিয়ায়। ব্যক্তিগত জীবনকে আগে কখনও প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার টুইটারে তার নতুন জীবনসঙ্গীকে প্রকাশ্যে এনে সকলকে চমকে দিয়েছেন আপিএলের প্রথম চেয়ারম্যান ললিত মোদী।
সাবেক মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেনের সঙ্গে তার প্রণয়ের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন টুইটারের মাধ্যমে। সেখানে সুস্মিতা সেনের সঙ্গে ছবি দিয়ে ‘নতুন জীবন’ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ললিত লিখেছেন, “পরিবারের সঙ্গে মালদ্বীপ এবং সার্ডিনিয়ায় বেড়িয়ে লন্ডনে ফিরলাম। আমার ‘বেটার হাফ’ সুস্মিতা সেনের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। শেষ পর্যন্ত নতুন জীবনের শুরু। দুর্দান্ত উপভোগ করছি।”
সুস্মিতা সেনকে নিয়ে তার ভালবাসার কাহিনি প্রকাশ্যে আনলেও প্রথম স্ত্রী এবং বিবাহিত জীবন কখনও প্রকাশ্যে আনেননি ললিত। ফলে তার প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে বিশেষ হইচইও হয়নি কোনও দিন।
ললিতের প্রথম স্ত্রীর নাম মিনাল। ১৯৯১ সালের ১৭ অক্টোবর মুম্বাইয়ে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ৬৪ বছর বয়সে মিনালের মৃত্যু হয়। ১৯৫৪ সালে নাইজেরিয়ায় সিন্ধি-ইন্দো পরিবারে জন্ম মিনালের।
মিনালের প্রথম বিয়ে হয় সৌদি আরবের ধনী ব্যক্তি জ্যাক সাগরানির সঙ্গে। কর্মসূত্রে তাকে নাইজেরিয়া থেকে লন্ডন যাতায়াত করতে হতো। পরে সৌদি আরবেই পাকাপাকিভাবে কাজ শুরু করেন মিনাল।
এই সময় একটি দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে যাওয়ায় সাত মাসের জেল হয় জ্যাকের। তখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন মিনাল। জ্যাকের সঙ্গে তার দেখা হওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই মিনাল লন্ডনে চলে আসেন। সেখানে মেয়ে কারিমার জন্ম দেন।
এরপর মিনাল দিল্লিতে চলে আসেন। জানা গেছে, দিল্লিতে আসার পর ললিত মোদীর মা বীণার সঙ্গে মিনালের বন্ধুত্ব হয়। সেই সুবাদে ললিতের সঙ্গে তার প্রায়ই দেখা-সাক্ষাৎ হতো। মিনালের থেকে দশ বছরের ছোট ছিলেন ললিত। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এরপরই ললিত-মিলান মুম্বাইয়ে উড়াল দেন। ১৯৯১ সালে বিয়ে করেন তারা। সে সময় দু’জনের বয়সের ফারাক চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল।
ললিত-মিনালের দুই সন্তান। ১৯৯৩ সালে মেয়ে আলিয়ার জন্ম হয়। ১৯৯৪ সালে জন্ম হয় ছেলে রুচির। কয়েক বছর পরই ললিতের সঙ্গে লন্ডনে পাড়ি দেন মিনাল। লন্ডনে থাকাকালীনই মিনালের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এক বছর ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ২০১৮ সালে মৃত্যু হয় মিনালের।