
অন্টারিওর লং-টার্ম কেয়ার মন্ত্রী রড ফিলিপস এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রদেশে যে পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি তাতে সর্বোচ্চ সাফল্য পেয়েছি। আমরা যা করতে চাই সেটাই আমরা করতে যাচ্ছি। যা কিছু করার দরকার তার দিকে আমরা নজর রাখবো এবং করবো। কিন্তু এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যা কিছু ঘটছে তা দেখা এবং সম্মুখসারীর স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলা। এসময় নার্সিং হোমগুলোর কর্মীদের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনের হারের তথ্য শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রাদেশিক উপাত্ত অনুযায়ী, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে সৃষ্ট চতুর্থ ঢেউয়ের মধ্যে ১৩টি লং-টার্ম কেয়ার হোমে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। কেয়ার হোমের বাসিন্দাদের মধ্যে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩৬ জন। কর্মীদের মধ্যে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ২০ জন।
এ অবস্থায় পরিবার ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভ্যাকসিন না নেওয়া কর্মীদের নিয়মিত পরীক্ষার নীতি বন্ধ করতে ফোর্ড সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে আসছেন। এর পরিবর্তে তারা প্রদেশব্যাপী ভ্যাকসিনেশন বাধ্যতামূলক করার কথা বলছেন। অন্টারিওর জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর বুধবার সতর্ক করে দিয়ে বলেন, প্রদেশের পক্ষ থেকে কোনো চেষ্টাই বাদ রাখা হবে না এবং লং-টার্ম কেয়ার হোমের কর্মীদের প্রদেশব্যাপী বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিনেশন নীতির মুখে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, কোন কোনো লং-টার্ম কেয়ার হোমের ভ্যাকসিনেশনের হার কম আমরা সেটা দেখতে চাই এবং সেখানকার ঝুঁকিতে থাকা কর্মীদের অধিক সুরক্ষা দিতে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই। ভ্যাকসিনেশনের হার বাড়াতে ইনস্টিটিউশনগুলোর সঙ্গে আমরা কাজ করবো। কিন্তু ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য ভ্যাকসিনেশনের যে হার প্রয়োজন তা আমরা অর্জন করতে পারছি না। এজন্য আমাদের আরও শক্তিশালী নীতি প্রয়োজন।