
কানাডার কোভিড-১৯ ইমিউনিটি টাস্ক ফোর্সের কিছু পরিসংখ্যান দেখায় যে, কোভিড-১৯ এর ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট এবং এর সাবভ্যারিয়ান্ট ২০২১ সালের শেষের দিকে এবং এই বছরের প্রথম কয়েক মাসে কত দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিলো।
টাস্ক ফোর্স বলছে যে, একটি ডেটানুযায়ী ডিসেম্বর, ২০২১ থেকে মে, ২০২২- মাত্র পাঁচ মাসে ১৭ মিলিয়ন কানাডিয়ান এতে সংক্রমিত হয়েছিল; যা প্রতিদিন গড়ে ১০০,০০০ এর বেশি সংক্রমণের ঘটনার কথা বলছে।
টাস্কফোর্স অফিসিয়ালরা একে ‘ওমিক্রন সুনামী’ বলে অভিহিত করেছেন।
কোভিড-১৯ ইমিউনিটি টাস্কফোর্সের সহকারী চেয়ারম্যান ডা. ক্যাথেরিন হ্যানকিন্স গ্লোবাল নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এই ভ্যারিয়ান্টটি অত্যধিক রকমের সংক্রামক ছিল। এটি মানুষের কোন উপসর্গ ছাড়াই সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাই তারা নিশ্চিন্তে তাদের দৈনন্দিন কাজ করতে থাকে এবং আমরা এই কারণেই সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছি”।
ফলাফলগুলো সারা দেশে পরিচালিত রক্ত পরীক্ষা থেকে পাওয়া যায়, যেখানে প্রমাণসহ কোভিড-১৯ সংক্রমিত অ্যান্টিবডিগুলি পরিমাপ করা হয়েছিল।
সাম্প্রতিক গ্রীষ্মে কানাডার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দৈনিক কেসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে। গত ৬ জুলাই কিউবেকে দুই মাসেরও বেশি সময়ে নতুন সংক্রমণের সর্বোচ্চ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।
কানাডার গণস্বাস্থ্য সংস্থার ৩০ জুনের এক বিবৃতি অনুসারে জানা যায় যে, সংস্থাটি ওমিক্রনের বিএ-৪ এবং বিএ-৫ উপ-বংশের বৃদ্ধির কারণে আগামী মাসগুলিতে আরও কেস প্রজেক্ট করে রেখেছে।
ডা. ক্রিস্টোফার লেবোস নামক একজন মহামারী বিশেষজ্ঞ গ্লোবাল নিউজকে বলেন যে, “অনেক লোক বিশ্বাস করে যে, কারো একবার কোভিড হলে তিনি আর কোনোদিন কোভিডে আক্রান্ত হবেন , যা একটি ভ্রান্ত ধারণা”।
কানাডিয়ানদের একটি উল্লেখযোগ্য শতাংশের জনগণকে সম্পূর্ণরূপে টিকা প্রদান করা হয়েছে, কিন্তু বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ এবং যুবকরা এখনও তাদের তৃতীয় ডোজ পাননি।
ডা. ল্যাবোস উপযুক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, “যদি আপনি তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন, সেটার অনেক দিন হয়ে গিয়েছে এবং সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে আপনি যদি বেশি চিন্তিত থাকেন, তাহলে আমি সম্ভবত এই সময়ে চতুর্থ ডোজ নিতাম।”
এপিডেমিওলজিস্টরা বলছেন যে, ভ্যাকসিনের হালনাগাদ এবং কোলাহলপূর্ণ স্থানে মাস্কের ব্যবহার এখনও কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সর্বোত্তম সুরক্ষা প্রদান করে, বিশেষভাবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে।