5.2 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

৩০ লাখ টাকার সেতু, তিন মাসও টেকেনি

৩০ লাখ টাকার সেতু, তিন মাসও টেকেনি - the Bengali Times

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার পূর্ব ধনীরাম ও পশ্চিম ধনিরাম গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি সেতুর। পরে অবশ্য ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে তাদের স্বপ্নের সেতুটি ধনিরাম এলাকায় নির্মিত হয়। কিন্তু উদ্বোধনের ৩ মাস না যেতেই ভেঙে পড়ে সেতুটি।

- Advertisement -

এতে আবারও ভোগান্তিতে পড়েন পূর্ব ধনীরাম গ্রামের একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ আশপাশের ছয়টি গ্রামের মানুষ।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত ড্রামের ভেলাতেই যাতায়াত করছেন শত শত মানুষ।

হাজারো অভিযোগ আর আবেদন নিষ্প্রভ হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা সেতুটি এখন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখানকার একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা ৮০টি পরিবারসহ ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৬ টাকা ব্যয়ে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা বড়ভিটা ইউনিয়নের ধনীরাম গ্রামে তৈরি হয় সেতুটি। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ ফুট। কিন্তু সেতুটি উদ্বোধনের মাত্র তিন যেতে না যেতেই ভেঙে গেছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত ৪ বছর ধরে ভেঙে পড়া সেতুটি প্রশাসন থেকে একাধিক বার পরিদর্শন করা হলেও পুনসংস্কার কিংবা নির্মাণের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

নিরুপায় হয়ে যাতায়াতের জন্য এলাকাবাসী অর্থ সংগ্রহ করে একটি ড্রামের ভেলা তৈরি করেন।

৩০ লাখ টাকার সেতু, তিন মাসও টেকেনি - the Bengali Times

এই ভেলাতেই করে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে এখানকার মানুষজন। এ সময় দুর্ঘটনার শিকারও হন অনেকে বলে জানান তারা। বিশেষ করে এখানকার কেউ অসুস্থ হলে, পড়তে হয় চরম বেকায়দায়।

পূর্ব ধনীরাম গ্রামের খায়রুল ইসলাম বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ করার মাত্র ৩ মাসের মধ্যে ভেঙে পড়ে আছে দেখার যেন কেউ নাই। খুব কষ্ট করে চলাচল করছি আমরা। বড় কথা কি জানেন আমাদের এখানে কেউ কথা বলার মত মানুষ নাই, যার কারণে এতো কষ্ট আমারগুলার।

‘ব্রিজ নাই, নাই এখানকার রাস্তার অবস্থাও ভয়াবহ খারাপ। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সময় মত হাসপাতালে নিতে পারি না।’

এলাকার মরিয়ম বেগম বলেন, ব্রিজটি হওয়ার কিছুদিন পড়েই ভেঙে গেছে। যার কারণে এখানকার মানুষের খুব সমস্যা। ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুল ও মাদ্রাসায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে।

রমিছা বেগম নামের এক নারী বলেন, ব্রিজটি হওয়ার পরে এক মৌসুমও চলতে পারি নাই, তাতেই ভাইঙ্গা চুইরা পড়ে আছে। খুব একটা সমস্যাত পড়ছি আমরা।

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিন্টু বলেন, আমার ইউনিয়নের পূর্ব ধনীরাম এলাকার ব্রিজটি নির্মাণের তিন মাসের মধ্যে ডেবে যায়। এতে করে জনসাধারণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

‘আসলে কি টিকসই পরিকল্পনা না নেওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আকুল আবেদন পরবর্তীতে টেকসই পরিকল্পনা করে যেন ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়’ বলেন ইউপি চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সবুজ কুমার গুপ্ত বলেন, ওই এলাকায় নতুন করে ব্রিজের প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে সেখানে ব্রিজ হবে, না পেলে তো হবে না।

সূত্র : দেশ রূপান্তর

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles