17.5 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

কানাডিয়ানদের সুরক্ষার কথা মাথায় রাখা দরকার : ট্রুডো

কানাডিয়ানদের সুরক্ষার কথা মাথায় রাখা দরকার : ট্রুডো - the Bengali Times
ছবি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সৌজন্যে

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যকার সীমান্ত পারাপার বন্ধের মেয়াদ আবারও বাড়ানো হয়েছে। মহামারি করোনাভাইরাসের লাগাম টেনে ধরতে ২০২০ সালের মার্চে প্রাথমিকভাবে এ সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে এ সীমান্ত দিয়ে কেবলমাত্র পণ্যদ্রব্য ও প্রয়োজনীয় ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্ত পারাপার বন্ধ থাকবে। তিনি কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমানায় অপ্রয়োজনীয় যাতায়াতের জন্য পুনরায় চালু করতে তাড়াহুড়ো না করতে পরামর্শ দিয়েছেন।

সীমান্তের উভয় প্রান্তে ভ্যাকসিনের কভারেজ বৃদ্ধি পাওয়ায় পুনরায় খোলার পরিকল্পনার ডাকগুলো তীব্র হতে শুরু করেছে। হোয়াইট হাউস গত সপ্তাহে বলেছে, কানাডার সীমানা কখন বা কীভাবে পুনরায় চালু করা যায় তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে ব্যবসায়িক দল এবং আইন প্রণেতাসহ ভারমন্ট গভর্নস, ফিল স্কট এবং নিউইয়র্ক রেপ ব্রায়ান হিগিন্স উভয় দেশকে একটি পরিকল্পনা নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

- Advertisement -

জাস্টিন ট্রুডো বলেন, অনেক লোক সীমান্ত পুনরায় খুলতে আগ্রহী হওয়ার পরেও যেকোনো বিধিনিষেধকে সতর্কতার সাথে সহজতর করা এবং কানাডিয়ানদের সুরক্ষার কথা মাথায় রাখা দরকার। অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আমরা সঠিক পথে আছি। তবে আমরা কানাডিয়ানদের স্বার্থের ভিত্তিতে আমাদের সিদ্ধান্ত নেব এবং অন্যান্য দেশ যা চায় তার ভিত্তিতে নয়। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।

করোনা মহামারির আগে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন গড়ে চার লাখ মানুষ পারাপার করছিলেন। দীর্ঘদিন সীমান্ত পারাপার বন্ধ থাকায় দুই দেশের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী শহর বা এলাকা থেকে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যারা চাকরি বা ব্যবসা করেন, তাঁরা বেশ বিপাকে পড়েছেন। এ ছাড়া অর্থনীতিতেও বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles