
নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় প্যাট্রিক ব্রাউনকে অযোগ্য ঘোষণার পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ ছিল। এ ঘটনার পর্যালোচনার দায়িত্বে নিয়োজিত কনজার্ভেটিভ পার্টির একটি কমিটি এই অভিমত দিয়েছে।
সিদ্ধান্তের তার বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগও এসেছে। তা হচ্ছে দলীয় সদস্যপদ কিনতে ব্রাউন মানি অর্ডার কাজে লাগিয়েছিলেন এবং একটি পোর্টালের মাধ্যমে নন-কমপ্লায়েন্ট সদস্যপদ বিক্রির সুযোগ দিয়েছিলেন। পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচন কমিটির চেয়ার ইয়ান ব্রডি এক বিবৃতিতে বলেছেন, গুরুতর এই উদ্বেগ নিরসনে মি. ব্রাউনের সামনে অনেক সুযোগ ছিল।
এ অবস্থায় দলের ডিসপিউট রেজ্যুলুশন আপিলস কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে জানিয়ে দিয়েছে কনজার্ভেটিভ পার্টি। গত মাসের গোড়ার দিকে কমিটির এক সিদ্ধান্ত দলের সদস্য ও কানাডিয়ানদের হতবাক করে দেয়। নেতৃত্বে দৌড় থেকে ১১-৬ ভোটের ব্যবধানে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি অন্টারিওর ব্র্যাম্পটনের মেয়র পদে পুনর্নির্বাচনের প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তাকে অযোগ্য ঘোষণার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে কানাডার সেরা ডিফেন্স আইনজীবীদের একজন মেরি হেনেইনকে নিযুক্ত করেন ব্রাউন। এরপর কনজার্ভেটিভ পার্টি আপিল আবেদনটি পর্যালোচনার জন্য বাইরের এক আইনজীবীকে নিযুক্ত করেন। এখন অধিকতর আইনী পদক্ষেপ নিচ্ছে কনজার্ভেটিভ পার্টি।
পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্রাউনকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে এই নির্বাচনে চিফর রিটার্নিং কর্মকর্তার সুপারিশের ভিত্তিতে। তাকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশের পক্ষে প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আছে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ডিসপিউট রেজ্যুলুশন আপিলস কমিটির। ব্রাউনের বিরুদ্ধে ৫০০ এর বেশি নন-কমপ্লায়েন্ট সদস্যপদ বিক্রির অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছে কমিটি।
দ্য কানাডিয়ান প্রেসের পক্ষ থেকে ব্রাউনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলেও কোনো উত্তর দেননি তিনি। ব্রাউনের বিদায়ের পর মুখ খুলেছেন দীর্ঘদিনের দলীয় সংগঠক ডেবি জোডোইন। তার অভিযোগ, প্রচারণায় কাজ করার বিনিময়ে অর্থ পরিশোধের জন্য ব্রাউন থার্ড-পার্টি করপোরেশনের ব্যবস্থা করেছিলেন।
তবে তিনি কোনো অন্যায় করেননি বলে দাবি ব্রাউনের। তার বক্তব্য, অভিযোগের জবাব দিতে দলের পক্ষ থেকে তাকে যথেষ্ট তথ্য সরবরাহ করা হয়নি।
তবে ডিসপিউট কমিটি বলেছে, ব্রাউনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণ উপস্থাপনের সুযোগ দিয়েছিল পার্টি। কিন্তু সুযোগটি তিনি কাজে লাগাননি।