
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে গৃহবধূ নিপু (২৪) ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মো. সোহাগ হোসেন (২৭) নামের প্রধান ঘাতককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গৃহবধূর ব্যবহৃত মোবাইলসহ গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মো. রফিক নামে একই এলাকার তার অপর এক সহযোগী এখনো পলাতক রয়েছেন।
বন্ধুকে ধর্ষণ করতে না দেয়ায় গৃহবধূ নিপুকে হত্যা করে প্রেমিক। গ্রেফতারের পর বিকালে লক্ষ্মীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেনের আদালতে দেওয়া হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানান সোহাগ।
সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া।
সোহাগ হোসেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা, পরিচয় শনাক্তের পর থানায় মামলা করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চরপলোয়ান গ্রামের সুপারিবাগানে প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় ওই নারীর লাশ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া যুগান্তরকে জানান, আসামি সোহাগ হোসেনের সঙ্গে প্রায় এক মাস আগে পরিচয় হয়। প্রেমের টানে ওই গৃহবধূ গত ১৬ আগস্ট বাড়ি থেকে বের হন। সোহাগের বন্ধু রফিকের প্রলোভনে সোহাগ ওই গৃহবধূকে রফিকের মামার বাড়ি রায়পুর নিয়ে আসেন। এরপর তাকে ওই বাড়িতে রাতে সোহাগ ও গৃহবধূ অবৈধ মেলামেশা করে।
কিনি জানান, এ ঘটনা রফিক জানতে পেরে সেও গৃহবধূর সঙ্গে মেলামেশা করতে চায়। কিন্তু এতে বাধা দেয় গৃহবধূ নিপু। এ ঘটনা বুঝতে পেরে রফিককে ঘর থেকে বের করে দেয় তার মামি। পরে তারা সুপারি বাগান দিয়ে কাজের দিঘির পাড় যাওয়ার পথে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় রফিক। পরে দুই বন্ধু মিলে শ্বাসরোধ করে নিপুকে হত্যা করে। এ মামলার অপর আসামি একই এলাকার রফিক পলাতক রয়েছে।