0 C
Toronto
সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

শিল্পী মুর্তজা বশীর

শিল্পী মুর্তজা বশীর
ফাইল ছবি

বরণ্য শিল্পী মুর্তজা বশীর,জন্ম ও মৃত্যু এই আগস্টে মাত্র ১দিন মাঝে গ্যাপ। ১৫ এবং ১৭আগস্ট ১৯৩২-২০২০। সেই সত্তর দশকের শুরুর দিকে চট্টগ্রামকাল থেকে জানা শোনা। প্রথমে তাঁর আঁকার সরল্য ও বিষয়বস্তু মুগ্ধ করে ছিলো খুব,এরপর তাঁর উপন্যাস ‘আল্ট্রামেরিন’পাঠের পর মুগ্ধতায় একেবারে ডুবে গিয়ে ছিলাম। নিজের অন্তরের গহীনে বুদবুদ উঠতো আহা আমিও ওনার মত যদি এক আধটুকু আঁকতে-লিখতে পারতাম!

তাঁর বেলা শেষের দিকে শ্বাস কষ্টে যখন তিনি মোবাইল অক্সিজানের ছোট্ট সিলেন্ডার কাঁধে ব্যাগের মত ঝুলিয়ে বাড়ির বাইরে বেরুতেন সেই রকম দিনে তাঁর ফোন এলো একদিন -এই আমি তোদের এখানে আসছি।

- Advertisement -

আমি ও ডেনমার্ক প্রবাসী শিল্পীবন্ধু রা কাজল ঢাকার ভূতেরগলিতে স্টুডিও কাম আবাসে পাশা পাশি চারতলায় দুই ফ্ল্যাটে থাকি। কাজল কোপেনহেগেন থেকে কয়েক মাসের জন্যে এসে হৈহুল্লড় করে ছবি এঁকে প্রদর্শনী করে ফিরে যায়।আমিও তাই টরন্টো থেকে এসে ভূতের সঙ্গে বসবাস করে ফিরে যাই।

তিনি আসছেন। আমরা দুইজন ব্যাস্ত হয়ে উঠলাম যে তাঁর এই অসুস্থ অবস্থায় ৪তলায় উঠে আসবেন কি করে! যেহেতু বিল্ডিংএ লিফ্ট (এলিভেটর) নেই। খুঁজে পেতে আমরা ব্যালকনিতে পড়ে থাকা বেঁতের চেয়ার পেলাম। ভাবলাম এটিতে ওনাকে বসিয়ে আমরা দুইজন চারতলা তুলে নিয়ে আসবো। দরজা খুলতেই দেখি তিনি নিজে দিব্য সিঁড়ি বেয়ে উঠে এসেছেন। এই ছিলেন পাহাড় সমান মনের জোরধারী ছোটখাটো বাংলার বরণ্য শিল্পী মুর্তজা বশীর। প্রথমেই আমার স্টুডিওতে ঢুকে ঘুরে দেখতে লাগলেন।দেয়ালে গ্লাসফ্রেমে টাঙ্গানো আমার স্ত্রীর পিতা আবু জাফর জিয়াউল হকের ১৯১২ সনে আঁকা (যে বছর টাইটানিক জাহাজ ডুবে ছিলো) একটি পেন ড্রইং দেখে অবাক হয়ে বল্লেন –আমি ওনাকে চিনি।পুরোনো ঢাকার জমিদার।বালক বেলায় ও যৌবনে কতবার যে ওনার বাড়িতে হরিণ আর কুমির দেখতে যেতাম।

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles