
অন্টারিওর বাসিন্দা কারলি ম্যাকমাস্টার তার ডিএনএ অ্যানচেস্ট্রিডটকমে জমা দিয়েছিলেন ২০১৯ সালে। এর উদ্দেশ্য, তার পরিবারের পিতৃকূল সম্পর্কে আরও তথ্য আবিস্কার।
অন্টারিওর ব্র্যান্টফোর্ডের ২৮ বছর বয়সী এই নারী বলেন, তিনি শুধু তার পরিবারের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত ইতিহাসটা জানতে চান। আবিস্কারটা হলে তার জীবনটাই বদলে যাবে।
তার জেনেটিক তথ্য রাইলি হল নামে মিনেসোটার এক নারীর সঙ্গে মিলে গেছে। কীভাবে এটা সম্ভব হলো সেটা নিয়ে তারা আলাপও শুরু করেছেন।
ম্যাকমাস্টার সিটিভি নিউজ টরন্টোকে বলেন, রাইলির সঙ্গে প্রথমে খুব বেশি কথা বলতে পারিনি। কারণ, সত্যিই আমি খুব বেশি জানি না। চার মাস পর আমি আবারও ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং বলি চলেন আমরা একটু খুঁজে দেখি। এই পর্যায়ে এসে তারা নিয়মিত কথা বলতে থাকেন এবং অদ্ভুত সব ািমল খুঁজে পান।
অবশেষে তারা এটা বুঝতে পারেন যে, এটা কোনো দৈব ঘটনা নয় এবং দুইজনেরই বায়োলজিক্যাল বাবা একজন। স্পার্ম দানের মাধ্যমে জন্ম তাদের। ম্যাকমাস্টার বলেন, প্রথমে আমি চমকে গিয়েছিলাম। আমার পরিচয় নিয়ে আমার মধ্যে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়। একইসঙ্গে সম্পর্কের কথা জানতে পেরে আমি উৎফুল্লও হয়েছিলাম। আমি জানতে পারলাম যে, যে বাবা আমাকে বড় করেছেন তিনি আমার বায়োলজিক্যাল বাবা নন।
তবে এতোটা আশ্চর্য হননি হল। কারণ, ডোনেট করা স্পার্মেই যে তার মা গর্ভধারণ করেছিলেন তা তিনি তাকে এক বছর আগেই বলেছিলেন। ২৭ বছর বয়সী হল বলেন, আমার ভাই-বোনের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা ছিল। তাই খবরটির ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পরও আমি চমকে উঠিনি।
তারা বলেন, তাদের বায়োলজিক্যাল বাবা ১৯৯০ এর দশকের শুরুর দিকে কানাডিয়ান ব্লাড সার্ভিসেসে স্পার্ম দান করেছিলেন। সেখানকার একজন নিয়মিত প্লাটিলেটদাতা ছিলেন তিনি। একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পেয়ে তিনি স্পার্ম দান করেন।