
সাশ্রয়ী আবাসনের জন্য প্রয়োজন হলে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ফেডারেল সরকার। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড।
নোভা স্কশিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সাশ্রয়ী আবাসনের আমাদের সরকারের দৃষ্টি রয়েছে। কোনো কানাডিয়ান বাড়ি কিনতে চাইলে সেটা যেনো তিনি কিনতে পারেন তা নিশ্চিত করতে চাই আমরা। সঙ্গে সঙ্গে যারা ভাড়া নিতে চান তারা যেনো ভালো একটা পান। আবাসন বাজারের পরিস্থিতি ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং পরিস্থিতির দিকে আমরা ঘনিষ্ঠ নজর রাখছি। প্রয়োজন হলে বাড়তি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতিও রয়েছে আমাদের।
সাশ্রয়ী আবাসনের জন্য লিবারেল সরকার আগামী পাঁচ বছরে ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি ব্যয়ের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক মাস পর এই মন্তব্য করলেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। কিন্তু সাশ্রয়ী আবাসন অনেকের কাছেই এখনও অধরা।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কানাডার বাড়ির দাম বেড়েছে গড়ে ৫০ শতাংশ। গত মাসে চার্টার্ড প্রফেশনাল অ্যাকউন্ট্যান্টস অব কানাডা (সিপিএ কানাডা) পরিচালিত এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, যেসব কানাডিয়ানের বাড়ি নেই তাদের অর্ধেকই বাড়ির মালিক হওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে বলে মনে করেন। দেশব্যাপী বাড়ির দাম কমে আসার পরও এ ধারণা পোষণ করেন তারা। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৯০ শতাংশ কানাডিয়ান সুদের হার বৃদ্ধিকে আবাসন বাজারে প্রবেশে প্রধান বাধা বলে মনে করেন। কারণ, এর ফলে ঋণ গ্রহণ ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। তবে একই সময় সুদের হার বৃদ্ধির কারণে আবাসন বাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
কানাডা রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের (সিআরইএ) তথ্য অনুযায়ী, জুনে কানাডায় বাড়ি বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্চ থেকে নীতিনির্ধারণী সুদের হার বাড়ানো শুরু করার পর এপ্রিল থেকে আবাসন বাজারের কার্যক্রম দ্রুত স্তিমিত হয়ে আসতে দেখা গেছে।
একই সময়ে জুনে মাসভিত্তিক বাড়ির দাম কমেছে গড়ে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এর ফলে চাপ বাড়ছে ভাড়া বাজারের ওপর। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বাড়ি ক্রয়ের চিন্তা থেকে অনেকে সরে আসায় ভাড়া বাজার অব্যাহতভাবে ফুলেফেঁপে উঠছে।
রেন্টালডটসিএর তথ্য অনুযায়ী, জুনে সব ধরনের বাড়ির ভাড়া ছিল গড়ে ১ হাজার ৮৮৫ ডলার, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।