9.7 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

কুমারিত্ব প্রমাণে ব্যর্থ নববধূ, ১০ লাখ টাকা জরিমানা

কুমারিত্ব প্রমাণে ব্যর্থ নববধূ, ১০ লাখ টাকা জরিমানা - the Bengali Times
প্রতীকী ছবি

কুমারিত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় নববধূর (২৪) সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেছেন স্বামী। এতেও থেমে থাকেনি ছেলের পরিবার। পঞ্চায়েতের বিচারে মেয়েটি এবং তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হলো। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ভিলওয়ারা জেলায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, জরিমানার টাকা না পেয়ে ওই নারীর পরিবারকে হেনস্থা করছে তার সাবেক শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় ওই ছেলে ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে মেয়েটির পরিবার।

- Advertisement -

ভুক্তভোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের আগে পাড়ার এক যুবক মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছিল। বিষয়টি জানতে পেরে তার স্বামী ও শাশুড়ি তাকে মারধরও করেন। এরপর শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে স্থানীয় মন্দিরে সমিতির পঞ্চায়েত ডাকা হয়।

১৮ মে পঞ্চায়েতে সভায় মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানান যে, মেয়েটিকে যে ধর্ষণ করা হয়েছে, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই সুভাষনগর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ৩১ মে ফের পঞ্চায়েত সভা বনে। সে দিন ‘কুকড়ি’ প্রথার নামে মেয়েটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

থানার ইনচার্জ আইয়ুব খান এ বিষয়ে জানান, গত ১১ মে ভিলওয়ারা শহরের বাসিন্দা ওই মেয়েটির বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর রাজস্থানের বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের ‘কুকড়ি’ রীতি মেনে তার কুমারিত্ব পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি নববধূ। আর তা নিয়েই ঝামেলা। পুলিশ এ বিষয় তদন্ত শুরু করেছে।

কী এই কুকড়ি প্রথা?

রাজস্থানের এক বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘কুকড়ি’ প্রথার প্রচলন আছে। এই প্রথায় বিয়ের প্রথম রাতে স্বামীর সঙ্গে শারীরিক মিলনের পর সাদা চাদরের ওপর যদি মেয়েটির রক্তের দাগ লাগে, তবেই তার সতীত্বের প্রমাণ মিলবে। শুধু তা-ই নয়, সেই চাদরটি সমাজের আর পাঁচ জনের সামনেও প্রদর্শনও করা হয়। কুমারিত্বের প্রমাণ না দিতে পারলে মেয়েটিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। না হলে মেয়েটির বাড়ির লোকদের কাছ থেকে আরও বেশি যৌতুক আদায় করা হয়।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles