9.7 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

পর্নোগ্রাফি ও শাশুড়ি আমার সংসার ধ্বংস করেছে: কেনি ওয়েস্ট

পর্নোগ্রাফি ও শাশুড়ি আমার সংসার ধ্বংস করেছে: কেনি ওয়েস্ট - the Bengali Times

কিম ও কেনির চার সন্তান

মার্কিন র‌্যাপার কেনি ওয়েস্ট সম্প্রতি তার সাবেক স্ত্রী কিম কারদাশিয়ানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর নিজের চার সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এমনকি নিজের সংসার ভাঙার কারণ হিসেবে দোষারোপ করেছেন পর্নোগ্রাফি ও তার শাশুড়ি ক্রিস জেনারকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এ বিষয়ে একাধিক পোস্ট করেন কেনি ওয়েস্ট, যদিও পরবর্তী সময়ে তা মুছে ফেলা হয়।

প্রাক্তন স্ত্রী কিম ও তার পরিবারের উদ্দেশ্যে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার সন্তানদের ভালো-মন্দের চিন্তা আপনাদের করতে হবে না। তাদের স্কুলে যাওয়া নিয়েও ভাবতে হবে না। তারা কোনো প্লে বয় ম্যাগাজিনের ফটোশুট বা সেক্স টেপ করবে না।’

- Advertisement -

কেনি তার পোস্টে প্রাক্তন শাশুড়ির প্রতি ঘৃণা লুকানোর চেষ্টা করেননি। তিনি লিখেছেন, তার শাশুড়ির জন্যই তিনি দুই মেয়েকে নিয়ে চিন্তায় আছেন। তার প্রশ্ন, নানি ক্রিস কি তার নাতনিদের খেয়াল রাখছেন? তার সংসার ছারখার করেছে পর্নোগ্রাফি। কাইলি আর কিমকে ‘প্লে বয়’ ম্যাগাজিনের মডেল হওয়ার জন্য তার শাশুড়িই প্রথম ইন্ধন জোগান।

তাদের বিবাহবিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়া এখনো চলছে

কেনি আরও লিখেন, ‘হলিউড একটা বিশাল পতিতালয়। পর্নোগ্রাফি আমার পরিবার ধ্বংস করেছে। আমি এটিতে আসক্ত ছিলাম। ইনস্টাগ্রাম এটি প্রচার করে। ভয় লাগে, আমার দুই মেয়ে নর্থ আর শিকাগোর ক্ষেত্রে যেন তা না হয়। যেমন দুই মেয়ে কিম আর কাইলিকে ঠেলে দিয়েছিলেন ক্রিস।’

এদিকে তার এমন সব পোস্টে হতবাক অনেকে। তবে এ ঘটনায় সরব হন মডেল-তারকা কিম। প্রাক্তন স্বামীকে মেসেজ করে বলেন, ‘এই নাটক বন্ধ করবে? কেন এ সবের মধ্যে আমার ৬৭ বছরের মাকে টেনে আনছ?’ এতে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন র‌্যাপার। কিমের মেসেজের স্ক্রিনশট নিয়ে ফের পোস্ট দেন। বুঝিয়ে দেন, তাকে থামানো সহজ নয়।

২০১২ সাল থেকে একসঙ্গে থাকতেন কিম কারদাশিয়ান ও কেনি ওয়েস্ট। ২০১৪ সালে বিয়ে করেন তারা। তাদের চার সন্তান নর্থ, সেইন্ট, শিকাগো এবং স্যাম। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন কিম ও কেনি। তাদের বিবাহবিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়া এখনো চলছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles