
ইরানের মিসাইলের আঘাত বিধ্বস্ত ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৭৫২ এর এক ভুক্তভোগীর বাবা বিচার চাইতে অটোয়াতে পৌঁছেছেন। দুই সপ্তাহের বেশি পথ পাড়ি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অটোয়াতে এসেছেন তিনি।
মেহরজাদ জারেই নামে ওই ব্যক্তি ফ্লাইটটির নিহত যাত্রী ১৭ বছর বয়সী আরাদের পিতা। ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায় বিচারের দাবি সম্বলিত একটি চিঠি ট্রুডোর কাছে পৌঁছে দিতে ১০ আগস্ট অন্টারিওর রিচমন্ড হিল থেকে অটোয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি। তার এ দাবির মধ্যে আছে, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা। বাহিনীর একটি শাখা কুদস ফোর্সকে পাবলিক সেফটি কানাডা এরইমধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারির ওই ঘটনায় নিহত ১৭৬ জন যাত্রীর মধ্যে ১০০ জনের বেশি যাত্রীর কানাডার সঙ্গে কোনো না কোনো সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যে কানাডার নাগরিক ছিলেন ৫৫ জন এবং স্থায়ী বসবাসকারী ৩০ জন।
বৃহস্পতিবার ট্রুডো নুনাভাটে থাকায় জারেই প্রধানমন্ত্রীর পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি গ্রেগ ফার্গসের সঙ্গে দেখা করেন। জারেইর সঙ্গে ফ্লাইট ৭৫২ এর অন্যান্য ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। তারা এ সময় সংসদের বাইরে অবস্থান করছিলেন। জারেই সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের আজকের বার্তা হচ্ছে, যথেষ্ট হয়েছে। আরাদ শুধূ আমার সন্তান ছিল না, সে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুও ছিল। সে ছিল আমার বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ। ৮ জানুয়ারির ওই ঘটনার পর প্রতিটি দিনই আমার দুঃখ ও কষ্টে কাটে।
তার দাবির মধ্যে আরও আছে, ইরানের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ইরানের অবরোধ আরোপ করা এবং এ সংক্রান্ত মামলা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে নেওয়া।
ওই ঘটনার এক হাজারতম দিবস পালনে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা আগামী ৪ অক্টোবর অটোয়াতে ফিরে আসবেন।