
২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে কনজার্ভেটিভ প্রার্থী এরিক মেলিলোর কাছে পরাজিত হন এনডিপি প্রার্থী জেনিন সেইমোর। তিনি বলেন, নির্বাচনে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ ছিল এবং এ নিয়ে আগেভাগেই অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এটা যে খুব সহিংস নির্বাচন ছিল সেটা তারাও বলেছেন। নির্বাচনে প্রচারণাকালে বাজে পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে অফিসে নিরাপদ জায়গা যেনো নারীরা পান সে দাবি তুলেছেন।
ভোট চাওয়ার সময় কোনো একজন সেইমোরকে স্পর্শ করেছিল এবং এটা তার মনে দাগ কেটে আছে। তিনি বলেন, কেউ একজন আমার সঙ্গে আলাপ করছিলেন এবং ওই সময় তিনি আমাকে স্পর্শ করেন।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা এক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাকে ভয়ও দেখানো হয় বলে জানান সেইমোর। তাছাড়া তার বেশ কিছু নির্বাচনী প্রতীক ভাংচুরও করা হয়।
সেইমোর বলেন, একজন আদিবাসী ও আইনজীবী হিসেবে অভিজ্ঞতা থেকে এসব ঘটনায় পুলিশকে জড়াতে চাইনি। এজন্য আমি অনুতপ্তও নই।
নির্বাচনে জয়লাভের পর দায়িত্ব পালনের জন্য একজন নারীর নিজেকে নিরাপদ মনে করাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান সেইমোর। তিনি বলেন, অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা, অন্য কণ্ঠস্বর ও অন্য বয়ান শোনাটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেড়শ বছরের ইতিহাস রয়েছে। সেটা একই বয়ান এবং একই চোখে দেখা হয়।
থান্ডার বে ভিত্তিক সংস্থা উইমেন ইন পলিটিকসের কো-চেয়ার অ্যানি আন্তেনুচ্চি বলেন, এই অঞ্চলে এতো বেশি সংখ্যক নারীর প্রার্থী হওয়া দেখাটা সত্যিই আনন্দের। এর উল্টো দিকও আছে। একই নারী ভিন্ন বর্ণের হলে তাকে সরাসরি ও অনলাইন উভয় মাধ্যমেই ব্যাপকভাবে হেনস্থার শিকার হতে হয়।